বিশেষ প্রতিনিধি, নড়াইল নিউজ ২৪.কম
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক সফল ওয়ানডে অধিনায়ক ও মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং সুমনা হক সুমির বিবাহ বার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টম্বর এদিনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ম্যাশ-সুমি।মাশরাফি-সুমির বিবাহ বার্ষিকীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ভক্তরা। মাশরাফি নিজের বিবাহ বার্ষিকীতে তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ ১৫ পেরিয়ে ১৬ তে।নড়াইল নিউজ ২৪.কম এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল:
মাশরাফি তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন আলহামদুলিল্লাহ ১৫ পেরিয়ে ১৬ তে। সংগৃহীত
জানা গেছে, নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকার গোলাম মুর্তজা স্বপন ও হামিদা মুর্তজা বলাকার জ্যেষ্ঠপুত্র মাশরাফি বিন মুর্তজা। শহরের আলাদাতপুর এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম সিরাজুল ইসলাম এবং স্কুলশিক্ষিকা হোসনে আরা সিরাজের কনিষ্ঠ কন্যা সুমনা হক সুমি। সুমির বাবা মারা গেছেন সেই ছোটবেলায়। মা হোসনে আরা বেগমের পরিশ্রম আর অভিভাবকত্বেই বড় হয়েছেন সুমি।
ছবি সংগৃহীত
প্রেম থেকে প্রণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়ে গেছে। সুমনা হক সুমির সঙ্গে স্কুলজীবন থেকেই মন দেয়া-নেয়া মাশরাফির। এরপর মাশরাফির জেদের কাছেই হার মেনে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে পরিণয়। ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাশরাফি-সুমির বিয়ে হয় শহরের রূপগঞ্জ উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে। ওই দিন দুপুরে বিশাল গাড়িবহরে বর বেশে প্রবেশ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরদিন চিত্রা নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা বিনোদন পার্ক ‘নড়াইল চিত্রা রিসোর্টে’ বৌ-ভাতের আয়োজন করা হয়।
ছবি সংগৃহীত
সেদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তৎকালীন সভাপতি, কোচ, জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়সহ ক্রীড়াঙ্গনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নড়াইলের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ দাওয়াত পেয়েছিলেন। এক কথায় এ অনুষ্ঠান ঘিরে সেদিন বিভিন্ন পেশার মানুষের মিলনমেলা হয়েছিল।
নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সুমনা হক সুমির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। দেখতে দেখতে একসঙ্গে পথচলার ১৫ বছর পেরিয়েছেন এই দম্পতি। সোমবার ক্রিকেট অঙ্গনের এই দম্পতির (মাশরাফি-সুমি) ১৬তম বিবাহবার্ষিকী।
ছবি সংগৃহীত
দাম্পত্য জীবনে মাশরাফি-সুমির দুই সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তান মেয়ে হোমায়রা মুর্তজা এবং ছেলে সাহেল মুর্তজা। মাশরাফির জন্মদিনেই সাহেল পৃথিবীর আলো দেখেছে।
ক্রিকেট মাঠে মাশরাফির সাফল্যে কখনও টিভির সামনে আবার কখনও মাঠে বসে উল্লাসে মেতেছেন স্ত্রী সুমি। আবার দল পরাজিত হলে কিংবা মাশরাফি ইনজুরিতে পড়লে কেঁদেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাশরাফি দম্পতির জন্য শুভকামনা জানান তার বন্ধুসহ ভক্তরা।
ছবি সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাশরাফির বন্ধু সৌমেন চন্দ্র বসু শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, মাশরাফী-সুমি দম্পতির যুগলবন্দী জীবন অনিন্দ্য-সুন্দর,অনুকরণীয়।দুজনেই পরোপকারী ও সুন্দর মনের অধিকারী।হুমায়রা-সাহেলের মতো ফুটফুটে দুটি সন্তান এখন তাদের এই সুখের সংসারের সারথী।
বাংলার মানুষের প্রিয় অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সুমনা হক সুমি দম্পতির আজ শুভ বিবাহবার্ষিকী।বিবাহবার্ষিকীর এই শুভ দিনে এই দম্পতিকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তোমাদের ঘিরেই এখন অবহেলিত নড়াইলের মানুষের স্বপ্ন যাত্রা। তোমাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক আমাদের নড়াইল। নিরন্তর শুভ কামনা।
উজ্জ্বল হোসেন শাহিন লিখেছেন, মাশরাফী-সুমি দম্পতির যুগলবন্দী জীবন অনিন্দ্য-সুন্দর,অনুকরণীয়।দুজনেই পরোপকারী ও সুন্দর মনের অধিকারী।হুমায়রা-সাহেলের মতো ফুটফুটে দুটি সন্তান এখন তাদের এই সুখের সংসারের সারথী।