ভয়ঙ্কর সৌরঝড় আসছে: ইন্টারনেট ব্যবস্থা হুমকিতে ভয়ঙ্কর সৌরঝড় আসছে: ইন্টারনেট ব্যবস্থা হুমকিতে – Narailnews24.com-নড়াইল নিউজ ২৪
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শুধু দল নয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও গণঅভ্যুত্থানের নেপথ্যের নায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান – যুবদল নেতা তারেক নড়াইলে চুরির ২২টি মোবাইল ফিরে পেয়ে খুশি  মালিকরা  নড়াইলে ১০ লাখ টাকার ধানের বীজ চুরি সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার ঝিনাইদহে আ’লীগ নেতা ও হত্যা মামলার আসামী বিএনপিতে যোগদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন স্থগিত হল দেশের প্রাচীন তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নিবন্ধন ভারত ও পাকিস্তানকে যুদ্ধ থামাতে সরাসরি হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প মনবাসনা পুরনে ঐতিহ্যবাহী নিশিনাথ তলার মাসব্যাপী বৈশাখী পূজা শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের জামিনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

ভয়ঙ্কর সৌরঝড় আসছে: ইন্টারনেট ব্যবস্থা হুমকিতে

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আসছে ভয়ঙ্কর সৌরঝড় বা ‘সোলার স্টর্ম’ আর এতে ভেঙে পড়তে পারে সারা বিশ্বের যাবতীয় ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা। । আর তা বেশ কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই ধরনের সৌরঝড়কে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়, ‘করোনাল ম্যাস ইজেকশান (সিএমই)’। যা পুরো সৌরমণ্ডলের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।

যুক্তরাষ্ট্রের আরভিনে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই অশনিসঙ্কেত দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি পিয়ার রিভিউ পর্যায় পেরিয়ে একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। গত মঙ্গলবার অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।

গবেষকরা জানিয়েছেন, আসন্ন সৌরঝড়ের মতো ভয়ঙ্কর দুর্যোগ বা সৌরঝড় আধুনিক বিশ্ব দেখেছিল ১৮৫৯ এবং ১৯২১ সালে। সে ক্ষেত্রে বলা যায়, ১০০ বছর পর ফের ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছে পৃথিবী।

১৯২১ সালে ভয়ঙ্কর ওসই সৌরঝড় আছড়ে পড়ায় পৃথিবীর যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা অভূতপূর্ব। বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম ‘ক্যারিংটন অ্যাফেক্ট’। সেই সৌরঝড়ের ঝাপটায় পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বিশাল চৌম্বক ক্ষেত্রে বড় বড় ফাটল ধরেছিল। আর তার ফাঁক দিয়ে ঢুকেছিল অত্যন্ত বিষাক্ত সৌরকণা আর মহাজাগতিক রশ্মি।

টেলিগ্রাফের তার সশব্দে ফেটে গিয়ে দাউদাউ করে জ্বলেছিল দীর্ঘ সময় ধরে। যে মেরুজ্যোতি (‘অরোরা’) শুধু পৃথিবীর দুই মেরুতেই দেখা যায় সাধারণত, সৌরঝড়ের প্রবল ঝাপটায় সে বার তা বিষুবরেখার নিচে থাকা কলোম্বিয়াতেও দেখা গিয়েছিল। খুব উজ্জ্বল ভাবে।

গবেষকরা লিখেছেন, ‘এমন ভয়ঙ্কর সৌরঝড় বা সিএমই’র পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রতি দশকে থাকে ১ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ। এ বার তেমনই একটি সিএমই’র ঝাপটা সইতে হতে পারে পৃথিবীকে। যার সম্ভাবনা খুব বেশি।’

১৮৫৯ এবং ১৯২১ সালের মতো তীব্রতায় অতটা না হলেও ১৯৮৯ সালের মার্চে যে সিএমই ধেয়ে এসেছিল পৃথিবীর দিকে তার ঝাপটায় কানাডার পুরো কুইবেক প্রদেশে টানা ৯ ঘণ্টা ‘ব্ল্যাক আউট’ হয়ে গিয়েছিল।

পৃথিবীর চার পাশে থাকা শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রই সৌরঝড়-সহ সূর্য থেকে ছুটে আসা নানা ধরনের পদার্থের হাত থেকে বাঁচায় আমাদের। দুই মেরুতে চৌম্বক ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী থাকে বলে সৌরকণারা ধেয়ে এলে তাদের বেশির ভাগকেই ফিরিয়ে দেয় দুই মেরুর চৌম্বক ক্ষেত্র। সেই সংঘর্ষেই মেরুজ্যোতির জন্ম হয়। পৃথিবীসহ সৌরমণ্ডলের সব গ্রহের দিকেই ধেয়ে যায় এই সৌরঝড়।

যে গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র প্রায় নেই বা খুব পাতলা, নেই বায়ুমণ্ডলও সেই গ্রহকে এই ঝাপটা বেশি সহ্য করতে হয়। তাই কোনো কালে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব হলেও সেখানে তা টিকে থাকতে পারেনি মঙ্গল গ্রহে। তার চার পাশে চৌম্বক ক্ষেত্রে প্রায় নেই বলে। এছাড়া সেখানকার বায়ুমণ্ডলও খুব পাতলা।

মূল গবেষক, আরভিনের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সঙ্গীতা আবদু জ্যোতি বলেছেন, ‘যেটা সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় তা হলো, আমরা মহামারির জন্য যেমন আদৌ প্রস্তুত ছিলাম না, এক্ষেত্রেও তেমনটাই হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, সূর্যের বায়ুমণ্ডলে (করোনা) কখন ভয়ঙ্কর সৌরঝড় উঠবে তার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয় এখনও। তবে এটুকু বলা যায়, সেই ভয়ঙ্কর সৌরঝড়ের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে অন্তত ১৩ ঘণ্টা সময় লাগবে।’

গবেষণাপত্রটিতে আরও বলা হয়েছে, আধুনিক ইন্টারনেট যোগাযোগব্যবস্থার ওপর এ বারের সিএমই’র আঘাত কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে কোনো বাড়তি তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। কারণ, এর আগে ১৯২১ সালে যখন এমন ভয়ঙ্কর সিএমই পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়েছিল তখন পৃথিবীতে ইন্টারনেট ব্যবস্থাই গড়ে ওঠেনি।

গবেষকদের আশঙ্কা, এ বার যে ভয়ঙ্কর সিএমই আসছে পৃথিবীর দিকে তার কারণে সমুদ্রের নীচ দিয়ে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে যাওয়া ইন্টারনেটের যাবতীয় তার খুব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বার্তার গতি বাড়াতে এই ইন্টারনেট তার বা ক‌েবলগুলোতে ৩০ থেকে ৯০ মাইল অন্তর বসানো থাকে ‘রিপিটার’।

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র স্বাভাবিক না থাকলে এই রিপিটারগুলো নষ্ট হয়ে যায়। একটি রিপিটার ক্ষতিগ্রস্ত হলেই ভেঙে পড়ে সেই লাইনের যাবতীয় ইন্টারনেট যোগাযোগব্যবস্থা। দেশের মধ্যে ইন্টারনেট যোগাযোগের কেবলগুলোর মতো সমুদ্রের নীচে থাকা এই কেবলগুলো ফাইবার দিয়ে বানানো হয় না। তাই সেগুলোর নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে আরও বেশি।

© এই নিউজ পোর্টালের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

More News Of This Category
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin
error: Content is protected !!