নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করেনা, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন তাদের এ বক্তব্য নিজেদের স্বাধীনতা বিরোধী চরিত্রকে জনগণের কাছে আবারও স্পষ্ট করে তুলেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন-বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় তারা পোস্ট-কোভিড জটিলতার মতো মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির সাথে থেকে এবং রাজনীতি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ক জটিলতায় ভুগছে। বিএনপি পরাজিত অপশক্তির স্বার্থরক্ষার রাজনীতি করতে গিয়ে এখন নিজেদের পরিচয় এবং অবস্থানও ভুলে গেছে। ইতিহাসের খাতিরে আজ আগামী প্রজন্মের জন্য সত্যি কথা বলতেই হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো বিএনপি নেতারা আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছেন, ন্যূনতম লজ্জা থাকলে তারা এসব কথা বলতেন না।
তিনি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারাই তো এদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন, আপনারাই তো রক্তমূল্যে অর্জিত স্বাধীন দেশের পতাকা পরাজিত শক্তির গাড়িতে উড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন কোথায় ছিলো তখন আপনাদের এই বহুরূপী চেতনা?
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদে পদে ভূলুণ্ঠিত করে আজ সাধু সাজার অপচেষ্টা জনগণ মেনে নিবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই এখন সর্বজন স্বীকৃত ছদ্মবেশী লুটেরা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের নামে লুটপাট তন্ত্রই বিএনপির লক্ষ্য।।
মুখোশের আড়ালে বিএনপির বিকৃত মুখচ্ছবি এখন জনগণের কাছে স্পষ্ট, জনগণ ছদ্মবেশী বেনিয়া আর চেতনাধারীদের আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারী বিএনপি এখন কথামালা দিয়ে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।
বন্ধুর পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন আমাদের আস্থার ঠিকানা, আশার নিউক্লিয়াস, উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার পুরোধা উল্লেখ করে তিনি বলেন পিতার উন্নয়নের পথরেখা ধরেই তাঁর নেতৃত্বে আজ অদম্য এক নতুন বাংলাদেশের এগিয়ে চলা। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, আজ বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের অনন্য অর্জনের সৌরভ, আর্থ- সামাজিক প্রতিটি সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার গৌরব।
বিআরটিসি একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, গাড়ীর চাকা চলার সাথে বিআরটিসি’র আয়ের সম্পর্ক, দীর্ঘদিন গাড়ী বন্ধ ছিলো, তাই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন একটি পরিকল্পনা তৈরি করে আপদকালীন সময়ে যেন এসব সমস্যা সমাধান হয় তা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরিয়ে আনতেও মন্ত্রী সংশ্লিদের নির্দেশ দেন।
বিআরটিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংযুক্ত ছিলেন।