নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখার উপ-নির্বাচন ভবানীপুর বিধানসভায় বিশাল জয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে ২১ রাউন্ড ভোট গণনা শেষে ৫৮ হাজার ৮৫৮ ভোটের ব্যবধানে হারান তিনি।
করোনার আবহে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ভবানীপুরের প্রার্থী না হয়ে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীও হন।
তবে বিধানসভা নির্বাচনের সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে মমতার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে উপনির্বাচনে যেতে হয়েছে মমতাকে।
তাকে এ সুযোগ করে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুর থেকে বিজয়ী হয়েও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। আর আসনটি তিনি ছেড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য।
এই নির্বাচনে ছিল সবার চোখ। মমতার জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত তৃণমূল। তাদের একটাই লক্ষ্য, বিজেপিকে কত বেশি ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্রে হারানো যায়। এই জয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে কোনো বাধা রইল না মমতার।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু গুরুত্বপূর্ণ পথ সামলেছেন। রেল, কয়লার মতো একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করে ১৯৯৭ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নামে পৃথক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯৯ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের শরিক হন। ২০০৬ সালে সিঙ্গুরের কৃষিজমিতে টাটাদের প্রস্তাবিত গাড়ি কারখানা তৈরির বিরুদ্ধে কৃষকদের জমি বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন।
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ২০০৬ সালে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস জোট ২৬টি আসনে জয় পায়।
২০১০ সালে কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস জোট বেঁধে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২২৭টি আসন দখল করে জোট। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসের জোটের মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা।
২০১৬ সালে বাম ও কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২১১ আসনে জয় পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূল নেত্রী মমতা।