নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার চার উপজেলায় কঠোর বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এ বিধি-নিষেধ সপ্তাহব্যাপী চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিধি-নিষেধ চলছে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে অবহিত এবং সচেতন করতে নগরীতে মাইকিং করে প্রচারণা শুরু করেছে তথ্য অফিস।
করোনা সংক্রমণের আধিক্য বিবেচনায় রূপসা উপজেলা, খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা এবং খালিশপুর থানায় জরুরি সেবা ব্যতীত সব দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। কঠোর এ বিধি-নিষেধের প্রথম দিন সকাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে প্রশাসন।
শহরের বিভিন্ন বাজারে (মুদি, কাঁচাবাজার, মাছ, মাংসের দোকান) গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। কেউ মানছেন না শারীরিক দূরত্ব। তবে শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় শহরে লোক সমাগম কম রয়েছে।
বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে, কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান ও নূন্যতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে হবে।
ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। হোটেল-রেস্তোরাগুলো পার্সেল অথবা প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোনো রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের অধিক ব্যক্তি অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবে না।
রূপসা উপজেলার রূপসা খেয়াঘাট, আইচগাতি খেয়াঘাট এবং উপজেলার বাজার ও দোকানপাটগুলোতে জনসমাগম করা যাবে না। উপজেলা সদরের ওষুধ, কাঁচাবাজার ও খাদ্যসামগ্রীর দোকান ব্যতীত অন্য সব দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
এসব শর্তাবলী খুলনা মহানগর ও খুলনা জেলা সংশ্লিষ্ট উপজেলার সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা জেলা প্রশাসনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, রূপসা উপজেলাতে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৪ দশমিক ১৮। কিন্তু অন্যান্য উপজেলাতে এই হার শতকরা প্রায় এক ভাগ। এছাড়া খুলনা মহানগরীর সদরে সংক্রমণ হার শতকরা ৩৫, খালিশপুরে ২৫ এবং সোনাডাঙ্গাতে এই হার শতকরা ১৭। অন্যান্য স্থানে সংক্রমণের হার নিম্নগামী।