নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
দির্ঘ অপেক্ষার পর উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দফতরের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ও বিধি অনুসারে করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও)দের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে জারিকৃত সার্কুলার অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইউএনওরা যাতে ওই সার্কুলার অনুসরণ করেন সেজন্য পৃথক আরেকটি সার্কুলার জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের এক সম্পূরক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, উপজেলা পরিষদ আইন ও এর অধীনে করা বিধিমালায় বলা আছে, উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব বিভাগের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে ইউএনওরা পরিচালনা করবেন। এ বিষয়ে একাধিক সার্কুলারও জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু ইউএনওরা সেটা না করে নিজেরাই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে উপজেলা পরিষদকে অবহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা পরিচালিত হবে। কিন্তু ইউএনওরা সেটা মানেন না, যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। এক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় যাতে না ঘটে, সেজন্য হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়। আদালত উপজেলা পরিষদ আইন ও ২০১০ সালের বিধিমালা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দফতরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা পরিষদকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে ইউএনওদের প্রতি সার্কুলার জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ১৬ জন বিবাদীর প্রতি আদেশ দিয়েছেন। সার্কুলারে হাইকোর্টের আদেশের কথাটি উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে সরকার উপজেলা পরিষদের (কার্যক্রম বাস্তবায়ন) বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ১৪ এর উপবিধি (১) প্রতিস্থাপন ও সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, আইনের তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত দপ্তরের কর্মকর্তারা, সরকার থেকে উপজেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত বিষয়ে সকল কাগজপত্র ও নথি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন।