
বিশেষ প্রতিনিধি, নড়াইল নিউজ ২৪.কম
কে হচ্ছেন নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী ? বিএনপির মনোনিত প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর চায়ের দোকান থেকে অফিস পাড়া সব খানেই একই আলোচনা কে হচ্ছেন নড়াইল- ২ আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী ? নিজ দলের প্রর্থীকে মনোনয়ন দিবেন ? নাকি জোটের শরীকদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে ?
৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে নড়াইল-১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের নাম ঘোষণা করা হলেও নড়াইল-২(লোহাগড়া উপজেলা ও সদরের একাংশ) আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নড়াইল-২ আসন হোল্ড (অপেক্ষা) করে রাখা হয়েছে।
এদিকে নড়াইল-২ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়নের দাবিদার জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারিয়ার রিজভী জর্জ। তাদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে নাকি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক ডক্টর ফরিদুজ্জামান ফরহাদের জন্য রাখা হয়েছে। তা নিয়ে চলছে জল্পনা- কল্পনা। কারণ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি এই আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এছাড়া শরিকদল হিসেবে ২০১২ সাল থেকে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে ফরিদুজ্জামান ফরহাদের দল এনপিপি।
ডক্টর ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আমি ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে নড়াইল-২ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে, আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনো জানানো হয়নি। ‘আমি নড়াইল-২ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পাওয়ার হকদার, দাবিদার। কারণ, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সবসময়ই বিএনপির সঙ্গে ছিলাম। জুলাই আন্দোলনেও ফ্যাসিস্টরা আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। সঙ্গতকারণে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যারা বিএনপির সঙ্গে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন, তাদের মনোনয়নে ছাড় দিবেন। তাদের নিয়ে নির্বাচন করবেন, সরকার গঠন করবেন।
তবে এখন পর্যন্তু কোন প্রার্থীর নাম ঘোষনা না করায় নড়ে-চড়ে বসছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরারিয়ার রিজভী জর্জ।
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরারিয়ার রিজভী জর্জ বলেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি বিগত সময়ে দলের দুর্দিনে রাজপথে থেকে হামলা-মামলা স্বীকার হয়েছি। কখনও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যায়নি। আমি ভোটারদের কাছে যাচ্ছি ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করছি, আমি এখনও আশাবাদি দল আমাকে মনোনয়ন দিবে।
জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র জীবন থেকে রাজনিতী করে আসছি। বিগত সময়ে একাধিকার হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছি। আমার বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত থেকে রাজপথে লড়াই সংগ্রামে অগ্রনী ভূীমকা রেখেছি। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছি। অবশ্যই দল আমাকে মূল্যায়ন করবে বলে আমি আশাবাদী।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিএনপির দলীয় মনোনয়নের জন্য জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন দুজনই। তবে এখন দেখার বিষয় আনুষ্টানিকভাবে কার হাতে উঠছে ধানের শীষ ? কে হচ্ছেন ধানের শীষের কাণ্ডারী তা জানতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরও কয়েকদিন।