নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৭ থেকে ৮ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা পাবো। এ মাসে কিছু আসবে, বাকিগুলো সেপ্টেম্বরে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।
জাহিদ মালেক বলেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে আশা করি যে ৭-৮ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করতে পারবো বা আরও বেশি করতে পারি, যদি ভ্যাকসিন এভেইলেভল হয়।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা দেশে আসবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ মাসে কিছু আসবে, বাকিগুলো সেপ্টেম্বরে।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৫দিনে ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক কাজ করা হয়েছে এবং অনেক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। চায়নাতে নতুন ৬ কোটি ডোজের অর্ডারসহ মোট সাড়ে ৭ কোটি অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আমাদের অফার দিয়েছে, আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করবো কিনা। সেগুলো আমাদের কিনে নিতে হবে। আমরা সেখান থেকে ৩ কোটি সিনোফার্ম টিকা পাব। আরও সাড়ে সাত কোটি ফাইজারের টিকা বিনামূল্যে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন যেভাবে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি এবং অর্ডায় দিয়েছি তাতে আগামীতে খুব একটা অভাব দেখা দেবে না। যদি ১৬ কোটি ভ্যাকসিন পেয়ে যাই, তাহলে আমরা ৮ কেটি লোককে দিতে পারবো। এই ভ্যাকসিনগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে আসার কথা। কোভ্যাক্সের ভ্যাকসিন যেটা ফ্রি আসবে সেটাও কিছু পাব।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, আমরা ফ্রন্টলাইনারদের দিচ্ছি। সব কারখানার শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আমরা চাই দেশের প্রতিটি মানুষ ভ্যাকসিন পাক এবং সুরক্ষিত থাকুক।
মন্ত্রী বলেন, যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার খুব কম। আমরা চাই সবাই ভ্যাকসিনেটেড হয়ে যাক। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য এসময় দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।