২১ আগস্টের আগে শেখ হাসিনাকে সতর্ক করা হয়েছিল – সাঈদ খোকন ২১ আগস্টের আগে শেখ হাসিনাকে সতর্ক করা হয়েছিল – সাঈদ খোকন – Narail news 24.com
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পিছিয়ে গেল আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির ঋণ নড়াইলে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ২০ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন নড়াইলে বালক-বালিকাদের সাইক্লিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত নড়াইল কালেক্টরেট স্কুলের দুইদিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন নড়াইল পৌর বিএনপি নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে গণসংবর্ধনা নড়াইল প্রেসক্লাবের নব গঠিত কমিটির সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময় নড়াইলে ভ্যাট ও ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্টিত নড়াইল প্রেসক্লাবের নবগঠিত কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা করলেন জেলা প্রশাসক  সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নতুন বাংলাদেশের চার্টার হয়ে থাকবে – প্রধান উপদেষ্টা পরিবেশ বান্ধব নড়াইল জেলা বিনির্মানে প্রচারনা ও জনসচেতনামুলক র‌্যালী অনুষ্টিত

২১ আগস্টের আগে শেখ হাসিনাকে সতর্ক করা হয়েছিল – সাঈদ খোকন

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১

নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার আগের রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে একটি হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন । ‘২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা, স্মৃতির পাতা থেকে জানা অজানা দুটি কথা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে শুক্রবার তিনি এসব কথা বলেন।

১৫ বছর আগের নারকীয় এই ঘটনাটি আবার স্মৃতিতে তাজা হয়ে উঠেছে হামলার বার্ষিকী সামনে রেখে। শনিবার নানা আয়োজনে নিহতদের স্মরণ করবে আওয়ামী লীগ।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়। মানববর্ম বানিয়ে নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার প্রাণ রক্ষা করতে পারলেও বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রাণ হারান। শত শত মানুষ এখনও স্প্লিন্টারের আঘাতে জর্জরিত।

হামলার আগের রাতের স্মৃতিচারণা করে সাঈদ খোকন বলেন, ‘বাবা (অবিভক্ত ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ।

শেখ হাসিনাকে ঘিরে ধরে স্প্লিন্টারে বিদ্ধ হয়ে পরে মারা যান তিনি) আমাকে সুধা সদনে (শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার ধানমন্ডির বাসভবন) পাঠিয়েছিলেন। নেত্রীকে হামলার পূর্বাভাস দিতে। আমি সুধা সদনে গিয়ে বলি যে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করব। নেত্রী তখন সাংগঠনিক সফর শেষে বিশ্রামে ছিলেন।

‘নেত্রী আমাকে ডেকে নেন দোতলায়। তখন আমি বলি, বাবা আমাকে বলেছে আপনাকে জানাতে। সুধা সদনসহ আপনার কাল সভায় যাওয়ার রাস্তা ও সভাস্থলে হামলা হতে পারে। হামলাকারীরা নিরাপদে ঢাকায় চলে এসেছে। আপনি আমার সঙ্গে আমাদের বাসায় চলেন। এখানে নিরাপদ নন আপনি। বাবা আপনাকে যেতে বলেছেন।’

সাঈদ খোকন জানান, এ কথা শোনার পর কিছু মুহূর্ত চুপ ছিলেন শেখ হাসিনা। পরে বলেন, ‘এরপর নেত্রী আমার দিকে তাকিয়ে হেসে জানালেন যে, রাজনীতি করতে গেলে তো ভয় পাওয়া যাবে না।’

খোকন বলেন, “আমি নেত্রীকে বলেছিলাম যে, আপনার যেসব লিংক আছে, তাদের থেকেও তথ্য নিয়ে নিতে পারেন। তবে নেত্রী তাতে বিচলিত হননি। বরং আমাকে বলেছেন যে, ‘তুমি বাসায় যাও। কাল অনেক কাজ আছে। বাসায় গিয়ে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ো’।”

‘আমি এ কথা শুনে নিচে নেমে আসি। আমার মন চাইছিল না যেতে। মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করি। এর মধ্যে নেত্রী আবার আমাকে নিরাপত্তাকর্মী দিয়ে বাসায় যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে আমি যাইনি। ভোরে বাসায় আসি’- সুধা সদন থেকে বের হওয়ার পর নিজের অনুভূতির কথা জানান তিনি।

২১ আগস্টের দিনের কথা স্মরণ করে খোকন বলেন, ‘ওই দিন আমি সভাস্থলে আসি। এরপর আবার পুরান ঢাকায় গিয়ে একটা বিশাল মিছিল নিয়ে ফিরে আসি। নেত্রী আসার পর বক্তৃতা শুরু করেন। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। প্রায় শেষের দিকে। নেত্রীর শেষ কথাগুলো যেন আবার বলা হয় সেই অনুরোধ করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। নেত্রী বলতে যাবেন, ঠিক সেই সময়ে একটা গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়।’

সাঈদ খোকন জানান, হামলায় তিনি সভাস্থল থেকে ছিটকে পড়েন। তার দুই পায়ের শক্তি হারিয়ে ফেলেন।

বলেন, ‘আমি সাথে সাথে নিজেকে ঠিক করে ফেলি। আস্তে আস্তে পায়ে হাত দিয়ে দেখি। এর মধ্যে আরও গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দ হয়। সাথে গুলিও চলে।

‘কোনোমতে উঠে দাঁড়িয়ে দেখি বাবার সারা শরীর রক্তে ভিজে আছে। আশপাশের অনেকের একই অবস্থা। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরি। এরপর আমাকে ও বাবাকে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাবাকে বাঁচাতে পারিনি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এই হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ বলে দাবি করেন সাঈদ খোকন।

২০১৮ সালের রায়ে তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে খোকন তার মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। বলেন, ‘আমি নিজে আক্রান্ত, আমি আক্রান্তের পরিবারের। আমার বাবা এই হামলায় মারা গেছেন। এমন আরও ২৪ জন মারা গিয়েছেন। আর এই হামলার পরিকল্পনাকারী লন্ডনে বসে আছেন। তাকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

স্মরণসভায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ওমর আলীসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

© এই নিউজ পোর্টালের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

More News Of This Category
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin
x