নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২১০টি সংবাদপত্র বাতিলের তালিকা করা হয়েছে। ২১০টি বাক্সবন্দি পত্রিকার যেগুলো আসলে ছাপা হয় না। এগুলোকে চোরাগুপ্ত ছাপানো বলে। এ পত্রিকাগুলো বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলোর ডিক্লারেশন বাতিল করতে জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার বরেন্দ্র অঞ্চলের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেউ কেউ গণমাধ্যমকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। আবার এমনও আছে, পত্রিকার মালিক যিনি, সম্পাদকও তিনি আবার রিপোর্টারও তিনি।
আরও বলেন, ভালো গণমাধ্যমগুলো এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। সেগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে নয়, রাষ্ট্র ও জনগনের স্বার্থে পরিচালিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, পত্রিকার মালিকরা ব্রিফকেস নিয়ে এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে ঘুরে বেড়ান। বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করেন। তাদের জন্য ভালো গণমাধ্যম বিজ্ঞাপন পায় না। এতে তাদের উপার্জন কমে যায়। তখন কর্মী ছাটায় হয়।
সাংবাদিকদের বীমা:
তিনি বলেন, ‘যেকোন প্রতিষ্ঠান বিমা করতে পারবে। গণমাধ্যম মালিকদের অনুরোধ করবো আপনারা আইন অনুযায়ী বিমা করবেন।’
করোনাকালে অনেক গণমাধ্যমের চলতে অসুবিধা হয়েছে। এ চাপ শুধু সাংবাদিকদের ওপর দেয়া হলে অন্যায় হবে। এখন করোনা কেটে গেছে। যাদের ছাটাই করা হয়েছিল তাদের আবার ফিরিয়ে নেয়া হোক।’
ফখরুল সাহেব বোঝেন না:
মন্ত্রী বলেন, ভারতে গেলে দিল্লী প্রেসক্লাবে বাংলা ভাষাভাষীর সাংবাদিকরা জানিয়েছিল ‘আপনাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় আমরা খুশি।’ তবে এবিষয়টি দেশে অনেকেই বুঝে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনিও বুঝে না।’
সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুসহ অনেকে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশে প্রায় ৪০০টি পত্রিকা অনিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, এগুলো ভূতুড়ে পত্রিকা।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছিলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেছিলেন, ‘প্রায় ৪০০ পত্রিকা চরম অনিয়মিত, যারা প্রায় দুই বছর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে পত্রিকা জমা দেয়নি। এগুলো ভূতুড়ে পত্রিকা। যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন কয়েক কপি ছাপে। আর অনেকে অল্প কয়েক কপি ছেপে শুধু তথ্য মন্ত্রণালয় আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দেয়।
‘ভূতুড়ে পত্রিকার কী প্রয়োজন, সেটিই প্রশ্ন এবং এগুলো বন্ধের দাবি সাংবাদিকদেরই।’