নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে শনিবার সকালে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থী রা।তাদের এক দফা, এক দাবি- ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্থায়ী বহিস্কার করো। সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ায় শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে আন্দোলনের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
এর আগে শুক্রবার বিকেলেও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষিক ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িক নয়, স্থায়ী বহিস্কার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সিন্ডিকেট সভায় ফারহানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। স্থগিত করা হয় সব পরীক্ষা।
পরে শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের জানান, বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি, শুধুমাত্র চলমান পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশোধিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়।
তবে শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িক বরখাস্তে সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা। এই শিক্ষকের স্থায়ী বহিস্কার চান তারা। সেই দাবিতে আন্দোলন আরও জোরালো হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে এবার ঝুলানো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গেইটে তালা।
২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন দরজায় কাঁচি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শিক্ষার্থীরা হলে ঢোকার সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়, তাদের সামনের অংশের বেশ খানিকটা কেটে দেন তিনি। এভাবে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন ওই শিক্ষক।
ওই ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সোমবার দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। মীমাংসা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সোমবার দুপুরে পরীক্ষা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ফারহানা ইয়াসমিন শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করে পরীক্ষার হলে যেতে বাধ্য করেন। এর প্রতিবাদ করলে নাজমুল হাসান তুহিন নামের ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের হুমকি দেন।
ওই ঘটনার পর ‘অপমান সইতে না পেরে’ তুহিন রাতে দ্বারিয়াপুরের শাহমুখদুম ছাত্রাবাসের নিজ কক্ষে দরজা আটকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সহপাঠীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।