নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
মুড়ি কেনার অতিরিক্ত ১০ টাকা খরচ করায় ইয়ামিন হাসান নামে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের একটি আম বাগানে কবর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
নিহত ইয়ামিন দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে ও কানাইডাঙ্গা বৃত্তিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
অভিযুক্ত জাহিদ হাসান কানাইডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আশাদুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন তিনি।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ।
নিহত ইয়ামিনের মামা আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘প্রায় ৭ বছর আগে আমার বোনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সেই থেকে ইয়ামিন ও তার ভাই ইমন মায়ের সঙ্গে আমাদের বাড়িতেই থাকে।’
তিনি জানান, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশের একটি আম বাগানে খেলছিল ইয়ামিন ও ইমন। এ সময় মুড়ি কিনতে ৩০ টাকা দিয়ে ইয়ামিনকে দোকানে পাঠায় জাহিদ। কিন্তু মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট ১০ টাকা খরচ করে ফেলে ইয়ামিন।
পরে বাকি টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায় তাকে দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে জাহিদ। আর ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালায় ইমন। বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায় সে। এরপরই ইয়ামিনকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয় ওই বাগানে।
আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ‘অনেক খোঁজার পর ইয়ামিনের মরদেহ বাগানের একটি কবরের মধ্যে পাওয়া যায়।’
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত জাহিদ। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশৈর অভিযান অব্যহত রয়েছে।