দরিদ্র দেশগুলোকে ১০০ কোটি টিকা দিতে বিশ্বের সাত ধনী দেশের জোট জি-সেভেনের নেতারা অঙ্গীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জি-সেভেনের সম্মেলন শেষে স্থানীয় সময় রোববার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কর্নওয়াল কাউন্টিতে শুক্রবার থেকে টানা তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে বসেন জি-সেভেনের নেতারা।
করোনাভাইরাস সৃষ্ট বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় করণীয় পদক্ষেপ নিয়ে জি-সেভেনভুক্ত সাত দেশ কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, ‘করোনা মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রাথমিক উদ্যোগ কিছু স্বার্থপর ও জাতীয়তাবাদী প্রস্তাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
‘করোনাকে চিরতরে বিদায় জানাতে আমাদের কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক সামর্থ্যও এসবের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। বিশ্ব চায় আমরা যেন এসব সংকীর্ণ চিন্তাভাবনা থেকে মুক্ত হই।’
জনসন বলেন, সরাসরি বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উদ্যোগে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে ১০০ কোটি করোনার টিকা সরবরাহে অঙ্গীকার করেছেন জি-সেভেনের নেতারা। এগুলোর মধ্যে ১০ কোটি টিকা যুক্তরাজ্য দেবে।
জি-সেভেন সম্মেলনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ববাসীকে দ্রুত নিরাপদ টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে করোনা মহামারির ইতি টানতে এবং জোরালো আন্তর্জাতিক উদ্যোগের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে জি-সেভেন।
জি-সেভেন সম্মেলনে বিশ্বের শিল্পোন্নত সাত দেশের নেতাদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা হয়। এবারও ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের হার শূন্যের ঘরে এবং কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধে ফের অঙ্গীকার করেন জি-সেভেনের নেতারা।