নড়াইল নিউজ ২৪.কম ধর্ম ডেস্ক:
চতুর্থ ও শেষবারের মতো বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়। নতুন সময় অনুযায়ী আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হজ নিবন্ধন করতে পারবেন হজে যেতে ইচ্ছুকরা। এরপর আর কোনোভাবেই হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে না। এসময়ের মধ্যে হজে যেতে ইচ্ছুকদের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে বলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বিশেষ বিবেচনায় শেষবারের মতো আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসময়ের মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন অথবা নির্ধারিত প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে।
প্রাথমিক নিবন্ধন করা হলে প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা ২৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় এ বছর হজে যাওয়া যাবে না এবং প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে ধর্মমন্ত্রীকে চিঠি পাঠায় হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। সংগঠনটি জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৭১ হাজার ৬৮৯ জন। আরও প্রায় ৪ হাজার ১০০ জনের পেমেন্ট ভাউচার পেন্ডিং আছে। এ ছাড়া গত ৩১ জানুয়ারি হজযাত্রী নিবন্ধন সার্ভার ডাউন থাকার কারণে অনেক হজযাত্রীর নিবন্ধন করা সম্ভব হয়নি বলে হজ এজেন্সিগুলো হাবকে অবহিত করেছে। এমনকি পাসপোর্ট পেতে বিড়ম্বনা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে আরও অনেক হজযাত্রী অপেক্ষমাণ রয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই শেষবারের মতো হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। হাবের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়। প্রথম দফায় সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়। তারপর তৃতীয় দফায় ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে হজ নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় আবারও বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজের পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কোটা রয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৭৯ হাজার ৮৬২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ১৬৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৫ হাজার ৬৯৭ জন নিবন্ধন করেছেন। সে হিসাবে এখনো কোটা খালি রয়েছে ৪৭ হাজার ৩৩৬টি।