নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
এক স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. সঞ্জয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা করেছেন । বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে তিনি মামলা করেন।‘আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিকটিমের সঙ্গে সঞ্জয় চক্রবর্তীর পরিচয় হয়। প্রথমে ম্যাসেঞ্জার পরে মোবাইলের মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ হতো। যোগাযোগের এক পর্যায়ে সম্পর্ক, এরপর সঞ্জয় চক্রবর্তী ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল সঞ্জয় চক্রবর্তী বাদীকে চাঁদপুর ভ্রমণের প্রস্তাব দিলে বাদী রাজি হন। সঞ্জয় চক্রবর্তী লঞ্চের কেবিনে ভিকটিমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন। এতে ভিকটিম অসম্মতি জানান। পরে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়।
ওই বছরের ১ মে তারা লঞ্চ যোগে মুন্সিগঞ্জ যাওয়া ও আসার সময়ও তাদের মধ্যে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। ২৬ মে সঞ্জয় চক্রবর্তী ভিকটিমকে ফকিরাপুলের একটি হোটেলে নিয়েও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়।
বাদীর বক্তব্যে আরও জানা যায়, গত বছর ২২ ডিসেম্বর ভিকটিম সঞ্জয় চক্রবর্তীকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করেন। বিবাহিত হওয়ায় সে প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ভিকটিমকে দেখা নেয়ার হুমকি দেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। চাকুরীচ্যুত এমনকি মিথ্যা মামলার হুমকিও দেয়া হয় ভিকটিমকে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২৩ ডিসেম্বর শ্রীনগর থানা শিক্ষা অফিসার ভিকটিমকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে সঞ্জয় চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। অন্যথায় তাকে চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দেন শিক্ষা অফিসার।
বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য ভুক্তভোগী সঞ্জয় চক্রবর্তীকে গত ৮ জুন লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। সঞ্জয় চক্রবর্তী নোটিশের জবাব না দিয়ে উল্টো তাকে হুমকি দেন।
ভিকটিম অভিযোগ করতে থানায় যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে তাকে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরবর্তীকে ভিকটিম ট্রাইব্যুনালে এসে মামলা করেন। সঞ্জয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দাবিও জানান ভিকটিম।