সরকারের সমালোচনাকারীদের জন্য করুণা ছাড়া কিছুই নেই – প্রধানমন্ত্রী সরকারের সমালোচনাকারীদের জন্য করুণা ছাড়া কিছুই নেই – প্রধানমন্ত্রী – Narail news 24.com
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত নড়াইলে দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করলেন অতিঃ জিআইজি মোঃ হাসানুজ্জামান নড়াইলে হরিলীলামৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে সম্মানী প্রদান লোহাগড়ায় বাসের ধাক্কায় প্রাণগেল এক জনের, আহত ১ লোহাগড়ায় ঘোষনা দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ছাড়লেন অধ্যক্ষ মোশারফ সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল হবে – আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ নড়াইলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কালিয়ায় বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলে আহত ৫, অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৪ নড়াইলে সার্ভে ডিপ্লোমাদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে ৩ দিনের কর্মবিরতি পালিত

সরকারের সমালোচনাকারীদের জন্য করুণা ছাড়া কিছুই নেই – প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধ নয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার বলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, তার সরকারের সমালোচনাকারীদের জন্য করুণা ছাড়া কিছুই নেই, তাদের প্রতি জাতি একসময় ঘৃণা দেখাবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে শুক্রবার প্রবাসীদের দেয়া এক সংবর্ধনায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন। 

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার পর রাতে নিউ ইয়র্কের ম্যারিয়ট হোটেলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।

তাতে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আর সেই ভোটে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়েছে। বিএনপির যদি সেই শক্তি থাকত, তাহলে তো তারা ইলেকশন করত। তারা তো ইলেকশনের নামে মাঝপথে কাট মারে। মাঝ পথে যে তারা পিছু হটে চলে যায়, যখনই মনে করে যে জিতবে না, তখনই পেছনের দিকে পালায়। তারপর বলে এই ভোট হয়নি, এটা হয়নি, ওটা হয়নি।’

‘বিএনপি সরকারের আমলে যেসব ইলেকশন হয়েছে, তারা কী ভুলে গেছে?’-এ প্রশ্নও ছোঁড়েন প্রধানমন্ত্রী।

সমালোচকদের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যখন কাজ করে বাংলাদেশকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছি, আর এদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশকে কীভাবে খাটো করবে। আওয়ামী লীগ সরকারকে কেউ কেউ অবৈধ সরকার বলে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে অবৈধ সরকার যারা বলে, তারা এই যে কথাগুলো বলার সুযোগটা পাচ্ছে, এই সুযোগটা কোত্থেকে পাচ্ছে?’

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হয়েছে বলেই সমালোচনাকারীরা এসব কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বৈধ আর অবৈধ যা-ই হই, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি বলেই তো, সেই সুযোগটা পাচ্ছে। এতই যদি তাদের নীতি আদর্শ থাকে, আমাদের করা এই সমস্ত ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে কেন? এটা তো করা ঠিক না তাদের।’

এসব সমালোচনকারীরা বিএনপি, জামায়াত এবং ৭৫-এর খুনিচক্রের অর্থ দিয়েই চলে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায় আছে, জিয়াউর রহমানের সরকার অবৈধ, এরশাদের সরকার অবৈধ। কারণ মার্শাল ল দিয়ে তারা সরকার গঠন করেছে। আর জিয়াউর রহমানের স্ত্রী এতিমের টাকা মেরে খেয়ে সাজাপ্রাপ্ত। আর তার ছেলে ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারের মামলায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ধরা পড়েছে। এমনকি বিদেশেও, শুধু আমাদের দেশে না। আমেরিকার এফবিআইয়ের হাতে তাদের দুর্নীতি ধরা পড়েছে।’

বর্তমান সরকার নিয়ে কেন এই সমালোচনা, সে ব্যাখ্যাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে। বাংলাদেশের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়েই একটি মহল সমালোচনায় মুখর বলেও মনে করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের যে পরিবর্তন, যারা স্বাধীনতা চায়নি, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, খুনি, যারা পাকিস্তানিদের দালালি করেছে, হানাদার বাহিনীর দালাল, তাদের বাংলাদেশের উন্নতিটা ভালো লাগে না। সেজন্যই তারা বদনামটা করে থাকে।

‘কাজেই তাদের করুণা করা ছাড়া আর কিছুই নেই। তাদের প্রতি জাতি একসময় ঘৃণা দেখাবে। আর আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’

এসময় দেশের উন্নয়নের অংশীদার হতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি একটা কথা বলব, আমাদের প্রবাসী যারা তারা কিন্তু বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগ করতে পারেন।’

বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশে তার সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা প্রবাসীদের কাছে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। আবারও জানালেন, সারা দেশে গড়ে তোলা হচ্ছে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কথা।

তিনি বলেন, ‘শুধু আমেরিকাই করবে তা না, আমাদের প্রবাসী আমেরিকানরা যতদূর পারেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।’

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশের অর্থনীতি, মানুষের জীবন ও জীবিকার গতি সচল রাখতে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপও প্রবাসীদের জানান শেখ হাসিনা।

বক্তব্যে দেশের গণমাধ্যম নিয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পত্রিকা শুধু নেতিবাচক কথা লিখবে, আর ভালো কথা লিখবে না, সেটা তো হয় না। পত্রিকা অপবাদ ছড়াবে শুধু, আর কনস্ট্রাকটিভ কথা বা যেটা দেশের উন্নতি বা দেশের জন্য ভালো হবে, সেগুলো বলবে না, এটা তো হতে পারে না। কাজেই দায়িত্বশীলতাটা সবদিক থেকে সমান থাকা দরকার।

‘মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত যেন না করা না হয়, সেদিকটাও দেখতে হবে। সেই দায়িত্বশীল ভূমিকাটা পালন করতে হবে।’

৭৫ পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার চিত্রও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শোনালেন, ৬ বছরের শরণার্থী জীবন ছেড়ে ঝুঁকি নিয়েও তার দেশে ফিরে আসার গল্প।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, ‘ওই অবস্থার ভেতরেই কিন্তু আমি বাংলাদেশে ফিরে আসি। আমি জানতাম, আমি যখন ফিরব আমাকে যেকোনো সময় হয়তো আমার ভাগ্যে একইরকম ঘটনা ঘটতে পারে। যেকোনো সময় মৃত্যু হতে পারেনি। সেজন্য কিন্তু পিছিয়েও যায়নি, থেমেও থাকিনি। সেটা আমি চিন্তাও করি না।’

ন্যায় আর সত্যের কথা বললে, জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলেই মানেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘সেজন্য সত্য কথা বলব না, আর ন্যায়সঙ্গত কথা বলব না-এটা তো হয় না। কাজেই আমি বলে যাচ্ছি। বার বার গেরিলা হামলা, গুলির মুখোমুখি হতে হয়েছে, কারাগারে বন্দি হতে হয়েছে, সেগুলো জানি আমি। জেনেই আমার পথ চলা।’

বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন কোনোদিন ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেদিকেও সজাগ থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

© এই নিউজ পোর্টালের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

More News Of This Category
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin
x