নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ ডাকার কোনো নিয়ম নেই। রেগে কথা বলা, তিরস্কার বা দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল। সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জনগণের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় বলি, আপনি হাসিমুখে… আপনার অ্যাটিচ্যুডটা ইম্পর্টেন্ট (মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ)। কারণ সেবা নিতে গেলে ওয়েলকামিং অ্যাটিচ্যুড না থাকলে, আপনি রেগে আছেন, তিরস্কার করছেন, এগুলো দুর্নীতি। আমি বারবার বলেছি, দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল। এটা করা যাবে না, কোনোভাবেই।’
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাবলীলভাবে কথা বলার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই কথা বলার অর্থ এই না আপনি আপনার ক্ষমতা দেখাতে পারছেন না। আপনি এখানে হেরে যাচ্ছেন, এমন কিছু না। আপনার অ্যাটিচ্যুড থাকবে আইনের মধ্যে থেকে সাধ্যমতো সেবা দিতে হবে।’
একজন কর্মকর্তার আচরণের মধ্য দিয়ে সরকারের আচরণ প্রকাশ পায় মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার আচরণ সরকারের আচরণ। আপনার আচরণ, আপনার অফিস, সাধারণ মানুষ মনে করে, এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি অংশ।
‘অতএব সে ক্ষেত্রে যাতে করে আমাদের কর্মকর্তারা এটি অবশ্যই মেনে চলে। স্যার, ম্যাডাম বা এমন কিছু বলে সম্বোধন করতে হবে, এমন কোনো রীতি নেই।’
আমলাদের মানবিক হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি সব ধরনের মানবিক গুণাবলি যাতে আমাদের কর্মকর্তাদের বাড়ে। তারা যেন অত্যন্ত মানবিক হয়। সে বিষয়টা কিন্তু আমরা তাদের বলছি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্যার শব্দের অর্থ হচ্ছে মহোদয়। ম্যাডাম শব্দের অর্থ হচ্ছে মহোদয়া; জনাব, জনাবা। আমাদের জাতির পিতার নির্দেশনা কী ছিল? যারা তোমাদের কাছে সেবা নিতে আসে তার দিকে তাকাও। তারা তোমার ভাইয়ের মতো, বাবার মতো, তোমার আত্মীয়ের মতো।’
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘যারা সেবা নিতে আসেন, তারা জনগণ। জনগণের সেবক হও। জনগণের টাকায় তোমাদের বেতন হয়। সেটি কিন্তু স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।’
বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে এই বার্তাগুলো দিচ্ছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিই, একেবারে এসি ল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউএনও পর্যন্ত। তারা কিন্তু প্রতিনিয়ত কাজ করছেন।
‘বলতে গেলে তারা বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পৃক্ত হচ্ছেন; মেসেজগুলো দিচ্ছেন। সেটা হচ্ছে, মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ব্যাপারটা। জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কথা হচ্ছে, জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে।’