স্টাফ রিপোর্টার:
বয়স আর কত হবে ? আড়াই বছর বয়সী শিশু আবুতালহার ওপর হামলা চালালো ওরা। গ্রাম্য কোন্দলে হামলা থেকে রক্ষা পায়নি সেও। বলছি লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের চরব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের কথা। আহত শিশুর পিতা শামীমুর রহমান বুলু সাতক্ষীরায় একটি বেসরকারী ব্যাংকে চাকুরী করেন। শিশুটিকে নড়াইল সদর হাসপতাালে ভর্তি করা হয়।
জানাগেছে, গত ঈদুল ফিতরে সবাই গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন ঈদ উদযাপন করতে। ঈদের পর পরিবারের সদস্যদের গ্রামের বাড়িতে রেখে কর্মস্থলে ফিরে যান শামীম। শিশু তালহা মায়ের সাথে দাদা বাড়িতে বেশ আনন্দে হেসে খেলে বেড়াচ্ছিলেন।
বুধবার (২ জুন) ফজরের আযানের পরই শিশু আবু তালহাদের বাড়িতে হামলা চালায় এলাকার প্রতিপক্ষরা। গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে ওই হামলায় শিশু আবু তালহা রক্ষা পায়নি। ঘুমন্ত অবস্তায় তালহার কপাল ও মাথায় ইটের আঘাত লাগে। প্রতিপক্ষের লোকজন ঢাল, সড়ক, ইট পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রাদি নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা ঘরের মধ্যে পালিয়ে জীবন রক্ষা করে। হামলাকারীরা চলে যাবার পর শিশুটিকে নড়াইল সদর হাসপতাালে ভর্তি করা হয়।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সুজয় রায় বলেন, শিশুটির মাথায় আঘাত লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে’।
শিশুটির পিতা শামীমুর রহমান বুলু বলেন, এলাকায় দলাদলি আছে। তাই বলে আড়াই বছরের শিশুর ওপর এভাবে হামলা করতে হবে? নড়াইলের পুলিশ সুপার স্যারের হস্তক্ষেপে এলাকায় শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করায় আমার পরিবারের সদস্যদের গ্রামের বাড়িতে মায়ের কাছে রেখে এসেছিলাম। কিন্তু নাজির মোল্যার লোকজন আমার আড়াই বছরের ছেলেটিকে যেভাবে মেরেছে তার সঠিক বিচার চাই’।
এদিকে ১জুন বিকালে ব্রাহ্মণডাঙ্গা বাজারে চায়ের দোকানদার জিয়ার ওপর লাঠিসোটা, হাতুড়ী ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে নাজির মোল্যা গ্রুপের লোকজন। বেপরোয়াভাবে মারধর করে ফেলে রেখে যায় চায়ের দোকানী জিয়াকে। ঠেকাতে গিয়ে জিয়ার ছোট ভাই মিলন আহত হন। দুজনকেই নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত আছে।