নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যাবে। চাঁদপুর সদরে শুক্রবার দুপুরে মহামায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, আগের ঘোষণা অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও হবে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই।
এর আগে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে বৃহস্পতিবার রাতেও এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। আগামী দিনে আরও কমবে। তাই ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে ছুটি রয়েছে তা আর বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।’
‘এর মধ্যে বড় কোনো সমস্যা না হলে আমরা ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব। তখন সঠিক মনিটরিংও নিশ্চিত করা হবে।’
শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া নিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, ১৮ বছর বয়সীদের টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে ১২ বছর বয়সী পর্যন্ত টিকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর আগে যত দ্রুত সম্ভব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের দ্বিতীয় সেশনে বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুলের ছেলে-মেয়েদের (নিয়ে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কতগুলো নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনেই টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি, যার জন্য কিছু ফাইজারের টিকা ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছে; আরও পৌঁছাবে। মডার্নার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। অন্যান্য টিকাও আসছে।’
চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি।
দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী বিশেষ করে শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন মনোচিকিৎসকরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের ৪ কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ভাষ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যত বেশি সময় বন্ধ থাকবে, ততই বাড়বে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।
দেশে করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।