নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি শান্তিকামী দেশ হিসেবে ব্র্যান্ডিং করেছেন। তারা আন্তর্জাতিক ফোরামে ঢাকার জন্য একটি সম্মানজনক অবস্থান সৃষ্টি করেছেন। শনিবার তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিরক্ষীবাহনীর সদস্যরা শান্তির দূত এবং তারা বিদেশে বাংলাদেশ শান্তিকামী দেশ হিসেবে ব্র্যান্ডিং করছেন এবং একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে অবদান রাখছেন।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীতে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব ইউনাইটেড নেশনস পিসকিপার্স-২০২১’ উপলক্ষ্যে শান্তিরক্ষী র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং আমাদের পেশাদারিত্বের জন্য গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখতে আমাদের ভূমিকা আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের মাথা উঁচু করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের- ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’ নীতির আলোকে একটি গতিশীল পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতা ‘একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্বের’ স্বপ্ন পূরণে সর্বোত্তম পথ কি হতে পারে, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তাঁর প্রথম ভাষণে তিনি তা উল্লেখ করেছিলেন। বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ও বজায় রাখতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী অভিযানের সম্মুখভাগে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শান্তিরক্ষী অভিযানে আমাদের অংশ গ্রহণ, নিবেদিত সেবা ও শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের আত্মত্যাগ আমাদের একটি জাতি হিসেবে গর্বিত করে।’ তিনি বিশ্বের অনেক অতি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও সাহসীকতার সাথে রাত-দিন অক্লান্তভাবে কাজ করা শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই দিনে, আমরা বিশেষভাবে যারা সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন- শান্তিরক্ষী বাহিনীর সেই সব সদস্যকে সালাম জানাই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সামরিক ও পুলিশের শীর্ষ অবদানকারী দেশ। বর্তমানে আটটি দেশে আমাদের প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শান্তিরক্ষী সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। এমনকি এই বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন শান্তিরক্ষী মিশনে ভয়হীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা করেন, এই শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে টেকসই শান্তি স্থাপনে বড় ধরনের অবদান রাখবে।