স্টাফ রিপোর্টার :
নড়াইলের লোহাগড়ায় বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী পিতা-পুত্র কে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিবেশী একটি পরিবারের লোকেরা। আহত পিতা সাহেব শেখ (৫৫) ও তার পুত্র সুজন শেখ (২৭) কে খুলনা মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই জমির সিকদার ও তার ছেলেরা পলাতক রয়েছে। এদিকে রাতেই জমির সিকদারের বাড়িতে আক্রমন করে সাহেব শেখ এর পরিবারের লোকেরা,তারা বাড়িঘর ভাংচুর করে এবং লুটপাট করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার(১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে বয়রা গ্রামের দক্ষিন পাড়ায় সাহেবের বাড়ির পাশে বিলের পানিতে নিজের জায়গায় মাাছ ধরার ঘুনি পাতে একই গ্রামের জমির শেখ। সেই স্থানে সাহেব শেখের পাতা ঘুনি তুলে ফেলে দেয় প্রতিবেশী জমির সিকদার। এ ঘটনায় জমির সিকদার কে মারধর করে সাহেব শেখ।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে জমির সিকদার তার ৩ ছেলে রোববার রাত ৮টার দিকে জমির শিকদারের তিন ছেলে কিনু শিকদার, উজ্জল শিকদার ও কামেল শিকদার ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাহেব শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার পেটে এবং অন্যান্য স্থানে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। ছ্যান দা’র কোপে পেট থেকে ভুড়ি বের হয়ে যায় সাহেব শেখের। ঠেকাতে আসলে সাহেব শেখ এর ছেলে সুজন শেখকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে বলে জানায় স্থানীয়রা।
আহত সাহেব শেখ ও সুজন শেখ কে প্রথমে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হলে রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করে।
সাহেব শেখের ছেলে সুজন শেখ এর সাথে মোবাইলে কথা বলে জানা যায়,তার বাবা সাহেব শেখের অবস্থা গুরুতর। জমির সিকদার ও তার পরিবারের কাউকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন ভাংচুর এবং লুটপাট অস্বীকার করে বলেন,মারামারি ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।