লোহাগড়ায় মধুমতী নদীর তীব্র ভাঙ্গনে নিঃস্ব ওরা লোহাগড়ায় মধুমতী নদীর তীব্র ভাঙ্গনে নিঃস্ব ওরা – Narail news 24.com
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

লোহাগড়ায় মধুমতী নদীর তীব্র ভাঙ্গনে নিঃস্ব ওরা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪
ছবি: নড়াইল নিউজ ২৪.কম

স্টাফ রিপোর্টার, লোহাগড়া, নড়াইল

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে মধুমতী নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ী, শতশত বিঘা আবাদী জমি, গাছপালা, এমনকি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের খুঁটি। ভাঙনের মুখে পড়ে অনেকেই বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, একাধিকবার মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন এখানকার মানুষ। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড মধুমতী নদীর
শিয়রবর পয়েন্টে ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা এবারের ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে।

রামকান্তপুর গ্রামের সাদ্দাম, আলাউদ্দিন,বালাম, চুন্নুমিয়া,আফজাল মোল্লা, হুমায়ুন কবির, আরফিন মোল্লা, ওসমান মুন্সী জানান, ‘মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে তাদের বসতবাড়ি বার বার নদীগর্ভে চলে গেছে। এসব মানুষেরা
নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। যেভাবে নদী ভাঙ্গছে তাতে করে বসতভিটা কখন নদীর পেটে চলে যায়, তার ঠিক নেই। এবার বাড়ি ভাঙ্গলে মাথাগোঁজার ঠাঁই থাকবে না তাদের’।

রামকান্তপুর গ্রামের তোতা মিয়া জানান, ‘তাদের ৫ বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এ পর্যন্ত তিন বার ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন তিনি। এবারও ভাঙ্গনের মুখে রয়েছেন ‘।

ছবি: নড়াইল নিউজ ২৪.কম

বৃদ্ধ আরফিন মোল্যা জানান, বসতভিটা ছাড়াও তাদের আবাদি জমি, সুপারী বাগান, পুকুরসহ ভাঙ্গনে ৫ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করছেন তিনি। সেটিও ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। এরপর স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোথায় থাকবেন সে ঠিকানাও নেই তাদের-এ কথা
বলতেই কেঁদে ফেলেন এই বৃদ্ধ’।

বালাম মোল্লার স্ত্রী তহমিনা জানান, ইতোপূর্বে ২ বার তাদের বসত ভিটা নদীগর্ভে ভেঙ্গে গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আশিকুল আলম জানান, মধুমতী নদীর ভাঙ্গনে বসতবাড়ি, আবাদি জমি,
মাদরাসা, মসজিদ ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নদী গর্ভে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। তিনি মধুমতী নদীর ভাঙ্গন রোধে জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফী বিন মোর্তজাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘লোহাগড়া উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের ভাঙ্গনরোধে আপাতত কোন বরাদ্দ নেই, এ কারণে কোনো ধরণের কাজ করতে পারছি না’। তবে বরাদ্দ পেলে আগামীতে ওই এলাকায় ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হবে।

© এই নিউজ পোর্টালের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

More News Of This Category
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin
x