লোকসানে বিকাশ: আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন লোকসানে বিকাশ: আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন – Narail news 24.com
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নড়াইলে প্রতারক গ্রেপ্তার  নড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত নড়াইলে দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করলেন অতিঃ জিআইজি মোঃ হাসানুজ্জামান নড়াইলে হরিলীলামৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে সম্মানী প্রদান লোহাগড়ায় বাসের ধাক্কায় প্রাণগেল এক জনের, আহত ১ লোহাগড়ায় ঘোষনা দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ছাড়লেন অধ্যক্ষ মোশারফ সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল হবে – আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ নড়াইলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কালিয়ায় বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলে আহত ৫, অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৪

লোকসানে বিকাশ: আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:

মোবাইল ফোনভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর বা এমএফএস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের গত দুই বছরের এই আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বার্ষিক বিপুল পরিমাণ লেনদেন, এক বছরে ২০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি, এরপরও লোকসান বাড়ায় এ প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। 

বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থপাচার রোধে কাজ করা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এর অংশ হিসেবে গত পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি কী কী পণ্য ও সেবা বিদেশ থেকে আমদানি করেছে, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। জুনে দ্বিতীয় সপ্তাহে বিএফআইউর এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে হাতে বৈঠকের কার্যপত্র এসেছে।

কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে বিদেশ থেকে আমদানি করা সফটওয়্যার এবং অন্যান্য সেবা ও প্রযুক্তির তালিকা এবং যেসব প্রতিষ্ঠানকে রয়্যালটি ফি বা লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে, বিকাশের কাছে তার বিবরণী চাইবে বিএফআইইউ।

এসব সেবা ও সফটওয়ারকেন্দ্রিক সেবা বিষয়ক চুক্তির হালনাগাদ টেন্ডার প্রকিউরমেন্ট ও অ্যাগ্রিমেন্ট ডকুমেন্ট কপিও চাইছে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারের এই সংস্থাটি।

কর্মকর্তারা জানান, বিকাশের মূল সত্ত্বাধিকারী মানি ইন মোশন এলএলসি-এর প্রকৃত মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সম্মক ধারণা লাভ এবং সফটওয়্যার আমদানি, ক্রয়, রয়্যালটি ও কমিশন এবং সার্ভিস ফি বাবদ দেশের বাইরে যে অর্থ চলে গেছে সেটির প্রকৃত হিসেব পেতেই এই সিদ্ধান্ত হয়।

বিকাশের মূল প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত আর্থিক হিসেবে বলা হয়েছে, বিকাশের ২০২০ সালে ৮১ কোটি ৪০ লাখ টাকা লোকসান করেছে। আগের বছরে যা ছিল ৬২ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৯ সালে বিকাশের মোট লেনদেন ছিল ২ হাজার ৪১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকায়।

এমন বিপুল পরিমাণ লেনদেন আর সেটি বাড়ার পরও লোকসান বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা। এ কারণেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিকাশের হেড অফ করপোরেট কমিউনিকেশন্স শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে প্রযুক্তিতে কৌশলগত বিনিয়াগের কারণে ব্যালান্স শিটে সেটা লস দেখানো হয়েছে। ভবিষ্যতে ব্যবসা বড় করার জন্যই বিনিয়োগ করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান পুরোটাই প্রযুক্তিভিত্তিক। এজন্য প্রযুক্তি বদলানোর প্রয়োজন পড়ে। ১০ বছর আগে ব্যবসা শুরু করেছি। কিন্তু সেই প্রযুক্তি দিয়ে এখন কাজ হবে না। গ্রাহকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে। কৌশলগত বিনিয়োগটা আমরা প্রযুক্তিতে করেছি। ডিজিটাল সার্ভিস উন্নত হচ্ছে, কিন্তু এর সচেতনতা বাড়াতে বিনিয়োগ করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘ব্যবসা বাড়ানোর জন্য, গ্রাহককে সুবিধা দেয়ার জন্য বিনিয়োগ করা হয়েছে। লোকসান হওয়ার কারণে মালিক-কর্তৃপক্ষ কোনো প্রফিট নিচ্ছেন না। গ্রাহকদের সুবিধা দেয়ার জন্য তারা প্রফিট না নিয়ে বিনিয়োগ করছেন।’

বিকাশের পণ্য ও সেবা আমদানির তথ্য খতিয়ে দেখার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বিএফআইইউ অনেক ধরনের তথ্য আমাদের কাছে চেয়ে থাকে। এটা নিয়মিত বিষয়। আমরাও নির্দ্বিধায় চাহিদামতো তাদের তথ্য দিয়ে থাকি।’

অনলাইন জুয়ার পেমেন্ট:

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বলছে, অনলাইনে জুয়ার পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ ও দমন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে গঠিত কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের ১২তম সভায় এমন তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

এতে বলা হয়, ‘অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে যেমন, স্ক্রিল, নেটেলারের মাধ্যমে পেমেন্টে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কার্যকর কোনো ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করা জরুরি।’

উদ্বেগজনক এমন তথ্য দেয়ার পরই কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠানসমুহের প্রতিনিধি হিসেবে বিকাশ লিমিটেডকে অন্তর্ভুক্ত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এ বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সম্প্রতি বিএফআইইউর এক বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

শুধু অনলাইন জুয়াই নয়, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সন্দেহজনক নানা উপাত্ত পেয়েছে সরকারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। একাধিক বিষয়ে তথ্য উপাত্ত চেয়ে এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এসব বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ না নিয়ে তাদের পক্ষে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব নয়। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এখন দেশের সাধারণ মানুষের লেনদেনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং সঠিকভাবে এই খাতটি পরিচালন না করা গেলে সেটি দেশের আর্থিক খাতের জন্যে ভয়ানক হবে।’

© এই নিউজ পোর্টালের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

More News Of This Category
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin
x