ভারত-চীন সংঘাতের আবহে পূর্ব লাদাখের উল্টাদিকে তিব্বত সংলগ্ন বিমানঘাঁটি থেকে চীনা বিমানবাহিনীর ২৪টি যুদ্ধবিমান নিয়মিত টহল শুরু করেছে। ভারতীয় বিমানবাহিনী চীনের এই অভিযানকে সম্পূর্ণ প্ররোচনামূলক হিসেবে অভিহিত করে পাল্টা তৎপরতা শুরু করেছে।
চীনের জে-১১ সিরিজের যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জে-১৬। এই দুই সিরিজের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে উড্ডয়ন শুরু করেছে নিয়মিত। হুটান, গারিগুনসা ও কাশগড়সহ বিভিন্ন বিমানঘাঁটি থেকে চীনা যুদ্ধবিমান আকাশে উড়ছে। এভাবে আকাশপথে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপরে সক্রিয়তা শুরু করেছে চীন।
অন্যদিকে, ভারতও চুপ করে বসে নেই। পাল্টা মিগ-২৯ এবং সুখোই তো বটেই, মাঝেমাঝে রাফায়েল যুদ্ধবিমানও উড়ছে আকাশে। ভারতের এই পদক্ষেপ চীনকেও কিছুটা সতর্ক থাকতে বাধ্য করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর দীর্ঘ ১০ মাসের টানাপোড়েনের পর যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হয়েছিল, তখনই নয়া সংঘাতের আবহের সূত্রপাত নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, লাদাখে সীমান্তের ওপারে কমপক্ষে ২২টি চীনা যুদ্ধবিমান মহড়া চালায়।এরমধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল জে-১১ যুদ্ধবিমান। যা সুখোই-২৭ বিমানের আদলে তৈরি। এছাড়া সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় লালফৌজের জে-১৬ যুদ্ধবিমানও।
চীনা লালফৌজের এই আগ্রাসী কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রেখেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কোনোভাবে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে গাফিলতি হবে না বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত বছর গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে ধাক্কা খেয়েছে চীন। কয়েক দশকের অবস্থান পাল্টে নয়াদিল্লি যে এমন মারমুখী হয়ে উঠবে, তা ভাবতে পারেনি বেইজিং। ফলে সীমান্তে চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীনা সেনা।
গণমাধ্যমে প্রকাশ, জিনজিয়াং এবং তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত সামরিক অঞ্চলে অবস্থিত ৭টি চীনা সামরিক ঘাঁটি পর্যবেক্ষণ করতে স্যাটেলাইট এবং অন্যান্য নজরদারি ব্যবস্থা ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফরোয়ার্ড এয়ারবেস পশ্চিম ও উত্তর ফ্রন্টের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। পার্সটুডে।