নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই ক্যাম্পে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। অনেকেই মিয়ানমারে আর ফেরত যেতে চায় না। তাদের স্বার্থে আঘাত লাগে। তারাই হয়তো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
শুক্রবার সিলেটে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আব্দুল মোমেন আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে ও বাইরে যাতে আইনশৃঙ্খলা আরও উন্নত করা যায় সে বিষয় নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার একটা সভা হয়েছে। এরপরও আজকে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। ব্রাশফায়ার করে ৭ জনকে হত্যা করা হলো, এটা খুবই আতঙ্কের বিষয়।
ড. মোমেন বলেন, বিভিন্ন লোকে বলছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকের ব্যবসা ও অস্ত্রবাণিজ্য হয়। আমরা এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। আমার প্রস্তাব হলো, এই ড্রাগ ও অস্ত্র পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনে গুলি ছুঁড়তে হবে।
মুহিবুল্লাহ হত্যা এবং আজকের ঘটনার পেছনে যোগসাজশ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন লোকে বলছে যে, ওখানে ড্রাগের ব্যবসা হয়। আর কেউ কেউ তথ্য দিয়েছে, কিছু বন্দুক-টন্দুকও আনা হয়। আমরা এসব নিয়ে কালকে আলোচনা করেছি।
এদিকে, তিস্তার পানি হুট করে বাংলাদেশে ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমাদের স্বরাষ্ট্রসচিব ভারতীয় হাইকমিশনের সাথে আলাপ করবেন।
তিনি বলেন, পানির বিষয়টি ভারত আগে আমাদেরকে জানিয়েছিল কিনা, আমি জানি না। তবে একাধিক বিষয় নিয়ে হাইকমিশনারের সাথে আলাপ-আলোচনা হবে। আমাদের ২ দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, সরকারি সম্পর্ক খুবই দৃঢ়।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি মাদরাসায় আজ ভোরে গুলি করে ৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা সবাই ওই ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদরাসার শিক্ষক, ছাত্র বা ভলান্টিয়ার।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং-১ (ইস্ট) লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়।