নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেন ইস্যুতে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনা চরম আকার ধারন করছে।যুদ্ধের আশঙ্কা করছে অনেক দেশ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশও ইউক্রেন থেকে দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মী ও তাদের স্বজনদের সরিয়ে নিচ্ছে বলে জানায় আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে।
যখন বিশ্ববাসী প্রত্যাশা করছে উত্তেজনা প্রশমনের, ঠিক এমন সময় রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে উত্তেজনার পারদ উসকে দিল যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে ন্যাটো থেকে দূরে রাখার রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন রাশিয়াকে কূটনৈতিক পন্থায় সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছে।
কূটনীতিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিক্রিয়াও ঠিক করছি।
রাশিয়ার একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা ব্লিঙ্কেনের বার্তা পেয়েছেন এবং ন্যাটোর সঙ্গে তা সমন্বয় করছেন।
এর আগে ন্যাটো সম্প্রসারণের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রাশিয়া ইতিমধ্যে লিখিত দিয়েছে ন্যাটোকে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে যুক্তরাজ্য দাবি করেছে, এর মধ্যে সম্মুখযুদ্ধে সক্ষম কমব্যাট সেনাদের ৬০টি দল রয়েছে।
যদিও রাশিয়া যে কোনো আক্রমণের পরিকল্পনার দাবি অস্বীকার করেছে। রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে কোনো আক্রমণের অভিপ্রায় তাদের নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়ার দাবির প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তার মূলনীতি স্পষ্ট করেছে। তা হলো ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং ন্যাটোর মতো যে কোনো সামরিক জোটে দেশটির অংশগ্রহণের অধিকার।
তিনি বলেন, ‘কূটনীতিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিক্রিয়াও ঠিক করছি।
এখন নির্ভর করছে রাশিয়া কিভাবে বিষয়টির প্রতিক্রিয়া দেয়। যদিও আমরা প্রস্তুত।’
ব্লিঙ্কেন এ সময় জানান, ইউক্রেনে তিন ধাপে সমরাস্ত্র পাঠিয়েছে দেশটি।
এদিকে রাশিয়ার আক্রমণের আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউক্রেনে দেশটির দূতাবাস খোলা থাকবে। হোয়াইট হাউস থেকে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো সময় হামলা হতে পারে।’
তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতি হলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষে দেশটির নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থা থাকবে না।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান অন্তত ২০ লাখ নাগরিক।