নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার সামরিক অভিযান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মাক্সার বলছে রুশ সেনারা রাজধানী কিয়েভের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে। ইউক্রেনের শহরগুলোতে হামলা জোরদারের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ঠিক সেসময় আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনে মস্কোর নেয়া পদক্ষেপগুলো এমন শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে যে রুশদের নিজেদেরই মানবিক করিডোরের প্রয়োজন হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনীয় সেনারা যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছে যাতে মানবিক করিডর কাজ করে। যদি দখলদাররা (রুশ সেনারা) আবার গুলি করে এবং আমাদের লোকদের উদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করে, তারা বিশ্ব থেকে এমন প্রতিক্রিয়া পাবে যে তাদের নিজেদেরই (রুশ সেনাদের) মানবিক করিডোর প্রয়োজন হবে।’
তবে মস্কো দাবি করে আসছে, রুশ সেনারা নয় ইউক্রেনীয় সেনারাই অবরুদ্ধ শহরগুলো থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজে বাধা দিচ্ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ইউক্রেনপন্থী মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তারা সাধারণ মানুষকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ও দেশত্যাগে বাধা দিচ্ছে।
রুশ আলোচকদের অভিযোগ, কিয়েভ মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ‘অযৌক্তিক ও অবাস্তব’ করছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, কিয়েভের সহযোগিতার অভাবে রাশিয়া একাই উদ্যোগী হয়ে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠা করবে।
এদিকে এক টেলিভিশন ভাষণে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন এখন জয়ের পথে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের ইউক্রেনের ভূমি স্বাধীন হতে কতদিন সময় লাগবে তা বলা সম্ভব নয়। তবে এটা বলা সম্ভব যে, আমরা তা পারব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কৌশলগতভাবে একটা টার্নিং পয়েন্টে পৌঁছে গেছি। আমরা এখন জয়ের পথে আছি।’
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘এটি শক্তিশালী এবং একরোখা শত্রুর বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিকদের একটি যুদ্ধ; যে শত্রুর হাজার হাজার সেনার মৃত্যুতেও কিছু আসে যায় না।’
এ সময় তার দেশকে আরও সহযোগিতার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান এই রাষ্ট্রপ্রধান।
জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার এই হামলা যদি চলতেই থাকে, তবে তাদের প্রতি যে নিষেধাজ্ঞা আছে তা পর্যাপ্ত নয়। আরও নিষেধাজ্ঞা চাই আমরা। রাশিয়াকে এই ভয়াবহ যুদ্ধের মূল্য দিতে হবে।’