নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
রাঘব-বোয়ালদের লুটে খাওয়ার সুযোগ করে দিতে সরকার এই বাজেট দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, লুটপাটের ভাগিদার এসব রাঘব-বোয়ালের সঙ্গে ক্ষমতাসীনরাই জড়িত।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) উদ্যোগে ‘বাঙালি জাগরণে করণীয় ও সিরাজুল আলম খান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জেএসডির সিনিয়র সহ সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কালো টাকা সাদা করা নাকি মাছের টোপ। মাছ ধরার জন্য যেমন টোপ দেয়া হয়, তারা দুর্নীতিবাজদের ধরার জন্য টোপ দিচ্ছে। এটা হাস্যকর। ক্ষমতাসীনরা নিজেরাই তো এর সঙ্গে জড়িত। বাজেট দেখলেই বোঝা যায় যে রাঘব-বোয়ালদের লুটে খাওয়ার আরেকটা ব্যবস্থা করেছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। দ্রব্যমূল্য এত বেশি বেড়ে গেছে যে, এটা সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় হচ্ছে না। আজ এসব কথা বলে ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখানে যারা বসে আছি আমরা সবাই দেশের এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি চাই। আমরা মনে করি যে বাংলাদেশ একটা ভয়ংকর সংকটের মধ্যে পড়েছে। যেখানে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। এমন একটা শাসকগোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে যারা দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারা (আওয়ামী লীগ) জনগণের কল্যাণে নয়, প্রতি মুহূর্তে দেশের ভবিষ্যৎকে ধ্বংসের মুখে ফেলছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘একটি দল, এক ব্যক্তির অবদান ছাড়া আর কারও কোনো অবদান স্বীকার কারতে চায় না। এজন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে যারা কাজ করছেন তাদের সবাইকে তারা অবলীলায় অস্বীকার করে। শুধু অস্বীকার করে না, তাদেরকে তারা ছোট করে কথা বলে। একই কারণে তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকেও সহ্য করতে পারে না।’