নড়াইলের অনেক ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গুনি মানুষের জন্মস্থান হওয়া সত্বেও বহুকালের অবহেলিত, উপেক্ষিত ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে। নড়াইলের আদি ইতিহাস প্রগতিশীল রাজনৈতিক চর্চা ও স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপক্ষে থাকায় অনেক সরকারের আমলে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের পুর্ব শর্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দেখা গেছে চরম উদাশীনতা। বৃটিশ সরকার মহকুমা প্রতিষ্ঠা করলেও পাকিস্থান আমলে ব্যাপক সিমানা সংকোচন করা হয়। মুসলিমলীগ ও পাক সেনা শাষকেরা নড়াইলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে পারলে অধিক খুশি থাকত। বৃটিশ আমলে ফরিদপুর থেকে কোলকাতা যাতায়াতের জন্য যে রাস্তাটি তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছিল, পাক আমলে তা আর খুব একটা এগোয়নি। মাগুরা আড়পাড়া দিয়ে বিকল্প রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। ফলে ততকালীন উন্নয়ন কেন্দ্র কোলকাতা ও যশোরের সাথে ভাল যোগাযোগ ব্যাবস্থা গড়ে না ওঠায় বৃহত্তর ফরিদপুরের বৃহৎ অংশ, গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর, শরিয়তপুর ও নড়াইল অঞ্চল ব্যাপকভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়। দেশ স্বাধিনের পর রাজনৈতিক বৈরিতার শিকার এ অঞ্চলকে উন্নয়ন মুখি করার জন্য বঙ্গবন্ধু নিজে উদ্যোগ করেন। প্রনয়ন করা হয় পরিকল্পনা। ঢাকা থেকে কোলকাতা হয়ে এশিয়ান হাইওয়ে নির্মানের জন্য এ রাস্তাটিকে নির্ধারণ করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আবারও এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ও ভাগ্যকে পাঠানো হয় নির্বাশনে। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও মৃত্যু ঝুকিকে সঙ্গী করে বঙ্গবন্ধু তনয়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হবার পর পুনরায় বঞ্চিত জনপদের উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যাবস্থাকে প্রথম শর্ত বিবেচনায় ঢাকা বেনাপোল হাইওয়ে নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।