নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের এক জেনারেল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উত্তরে পাঞ্জশির উপত্যকার দখল নিতে তালেবান ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন । ফক্স নিউজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
দখলের বাইরে থাকা একমাত্র অঞ্চল পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে শনিবারও বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল লড়াই হয়েছে তালেবানের। লড়াইয়ে দুই পক্ষই এগিয়ে থাকার কথা জানালেও এর স্বপক্ষে জোর প্রমাণ দিতে পারেনি কেউই।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের আগেই ক্ষমতার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়া তালেবান তাদের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়কার শাসনে পাঞ্জশিরের দখল নিতে পারেনি।
তালেবানের মুখপাত্র বিলাল করিমি বলেন, উপত্যকার খিঞ্জ ও উনাবাহ জেলা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এর মধ্য দিয়ে পাঞ্জশির প্রদেশের সাত জেলার চারটি তালেবানের নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছেন তিনি। ‘মুজাহিদরা (তালেবান যোদ্ধা) এখন (প্রদেশের) কেন্দ্রের দিকে এগোচ্ছে’, টুইটে বলেন করিমি।
তালেবান মুখপাত্রের ওই বক্তব্য অবাস্তব মনে হয় স্থানীয় বিদ্রোহী আহমদ মাসুদের অনুগত যোদ্ধাদের সংগঠন ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট অফ আফগানিস্তানের বক্তব্যে।
সংগঠনটির ভাষ্য, তাদের যোদ্ধারা খাওয়াক গিরিপথে ‘শত শত সন্ত্রাসীকে’ ঘিরে ফেলেছে। দাশতে রেওয়াক এলাকায় সামরিক যান ও সরঞ্জাম রেখে পালিয়েছে তালেবান।
বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ফাহিম দাশতি বলেন, ‘তুমুল লড়াই’ হয়েছে তালেবানের সঙ্গে। অন্যদিকে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে বিদ্রোহীদের নেতা মাসুদ জানান, তারা শক্ত হাতে উপত্যকাকে ধরে রেখেছেন।
আফগানিস্তানের হেরাতে অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামা নারীদের ‘আমাদের সম্মানিত বোনেরা’ সম্বোধন করে মাসুদ বলেন, এ বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়েছে, আফগানরা ন্যায়ের দাবি ছেড়ে দেয়নি। এতে এ-ও প্রমাণ হয় যে, তারা কোনো হুমকির পরোয়া করে না।
তালেবান ও বিদ্রোহীদের এমন অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি বলেন, ‘আমার সামরিক পর্যবেক্ষণ হলো সামগ্রিক পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। তালেবান ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার পাশাপাশি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে কি না, তা বলতে পারছি না।’
জার্মানির র্যামস্টেইন বিমানঘাঁটি থেকে ফক্স নিউজের সঙ্গে আলাপকালে মিলি বলেন, তালেবানের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে আগামী তিন বছরে আল কায়েদা পুনর্গঠন, আইএসের শক্তিবৃদ্ধি কিংবা অন্য অনেক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থান হবে।