স্টাফ রিপোর্টার, নড়াইল
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এমপি বলেছেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা সব সময় নড়াইলের জন্য চন, সে নিজের জন্য কিছু চান না সে জন্য তাকে আমার সবচেয়ে বেশি ভালোলাগে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শহরের সুলতান মঞ্চে আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলার সমাপনী ও সুলতান পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, নড়াইলের বাতিঘর মাশরাফি আমার ছোট ভায়ের মত, নড়াইল মাশরাফির এলাকা। মাশরাফি যা চাইবে নড়াইলের জন্য, আমি সেটা করে দেব।
এর আগে ২০২৩ সালের সুলতান পদক প্রদান করা হয় বরেন্য চিত্রশিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভীকে। তার হাতে অতিথিবৃন্দ পদক তুলেদেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের কাছে নিজ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের আবদার করেন। তারই প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মাশরাফি যেমন একজন স্বচ্ছ, পরিষ্কার মনের মানুষ। আমরা দেখতে চাই, নড়াইলের প্রতিটা মানুষ যেন ঠিক মাশরাফির মতো হয়। নড়াইলবাসীর মধ্যে যেন বিভেদ না থাকে। তারা যেন প্রত্যেকে মাশরাফির সঙ্গে হাতে হাতে রেখে নড়াইলের উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত হয়।
নাহিদ ইজাহার খান বলেন, নড়াইল হলো মাশরাফি, আপনাদের এবং আজকে আমার মনে হচ্ছে নড়াইল আমারও। আজকে থেকে নড়াইলের প্রতিটা কাজ আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে দেখব। আমার আসলেই ধারণা ছিল না যে নড়াইল এত সমৃদ্ধ।
বক্তব্য শেষে প্রতিমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুলতান মেলায় আন্তর্জাতিক চারুকলা প্রদর্শনী উপভোগ করেন। এরপর এস এম সুলতান কমপ্লেক্স, বাঁধাঘাটসহ নড়াইলের বিভিন্ন ঐতিহ্য ঘুরে দেখেন। এর আগে চিত্রশিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভীর হাতে সুলতান পদক ২০২৩ তুলে দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদি হাসান, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খান শাহাবুদ্দিনসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন সুলতান।
চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ সম্মাননাসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।