বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্বে থাকা নাজমুল হাসান পাপন সরে দড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, চিকিৎসক তাকে পরামর্শ দিয়েছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্রিকেট থেকে সরে যেতে। প্রায় এক দশক ধরে দায়িত্ব পালন করা পপন ২০১৭ সালে নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার প্রথম বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে এ কথা বলেন পাপন। আর এ ঘোষনার পরপরই আলোচনায় আসছে তাহলে কি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক সফল ওয়ানডে অধিনায়ক, নড়াইল এক্সপ্রেসখ্যাত মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ?
আর তাই তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে জোর আলোচনা ম্যাশ ভক্তরা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকেই দেখতে চাই বিসিবির সভাপতি হিসাবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান মুকুলের লেখা নড়াইল নউজ ২৪.কম এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল। লেখার সমর্থনে ভক্তদেরও রয়েছে সমর্থন:
নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান মুকুল লিখেছেন:
প্রসঙ্গ – বিসিবি নির্বাচন……… চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হচ্ছে বর্তমান পরিষদের মেয়াদ। নিয়মানুযায়ী মেয়াদ শেষ হবার পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে নতুন নির্বাচন। বাংলার ক্রিকেটের পথ প্রদর্শক হিসেবে কে যোগ্য? একবাক্যে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমী প্রায় সকল মানুষের মুখে একটি নাম এই মুহূর্তে উচ্চারিত হচ্ছে “মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা” কেন মাশরাফী বিসিবি সভাপতি হিসেবে যোগ্যতার দাবী রাখে..?
★মাশরাফীর সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম বিশ্বনন্দিত একই সঙ্গে নিজ ব্যক্তিত্ব গুণে তিনি তরুণ প্রজন্মের আইকন।
★সাধারনত একজন জাতীয় সংসদ সদস্য বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়।
★মাশরাফী বাংলার ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অধিনায়ক, যার নেতৃত্বে বাংলার ক্রিকেট স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাঁটতে শিখেছে যেটা প্রমানিত।
★অধিনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্বে সাফল্য প্রমান করে তিনি একজন দক্ষ নেতা।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট থেকে সরে যেতে বলেছেন ডাক্তার – পাপন
★ দেশের অভ্যান্তরে আঞ্চলিক টূর্ণামেন্টে যখন দর্শকের উপস্থিতি দেখা যায় না, তখন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টূর্ণামেন্ট আয়োজন করে যেখানে দর্শকদের উপচে ভিড়, একই সঙ্গে এই আয়োজনের অনুকরনে দেশের বিভিন্ন জেলায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টূর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয় অর্থাৎ মাশরাফী একজন দক্ষ সংগঠক। ★বর্তমান সময় জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ব্যতীত আগামীর জন্য বিশ্ব মানের খেলোয়াড় তৈরীতে আমাদের দূর্বলতা রয়েছে,সেক্ষেত্রে একজন পরীক্ষীত সফল অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে মাশরাফী অনবদ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
★বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে মাশরাফীর দেওয়া সাংক্ষাতকারে বাংলাদেশের ক্রিকেট ও খেলোয়াড় নিয়ে তার যে পরিকল্পনা উঠে এসেছে সেটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সাফল্যের চূড়ায় এগিয়ে নিয়ে যাবে।
★ বিসিবি সভাপতি পদে অন্য যারা দাবীদার রয়েছেন তাদের সাথে মাশরাফীর পার্থক্য এখানে তাদের লক্ষ্য থাকে বাংলাদেশ দল যেন বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে, আর মাশরাফীর লক্ষ্য থাকে দলকে ফাইনালে নেবার, মাশরাফী স্বপ্ন দেখে বিশ্বকাপ জয়ের। মাশরাফী এমনই এক স্বপ্নবাজ তরুন যিনি জেগে স্বপ্ন দেখে এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে জানেন।
★ ক্রিকেটের জন্য অন্যদের অবদান আর মাশরাফীর অবদান তুলনা করে দেখলে বোঝা যায় কেন মাশরাফী সবার থেকে এগিয়ে। বর্তমান পরিষদের দূর্বল নেতৃত্বের জন্য আজ বাংলার ক্রিকেটে এক চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দূর্ণীতি, অনিয়ম ও অপেশাদার সুলভ আচারনে বর্তমান নেতৃত্ব সমালোচিত হয়ে বাংলার মানুষের আস্থা হারিয়েছে। এমতবস্থায় বাংলার ক্রিকেটের উন্নয়নে এমন একজন পদ প্রদর্শক প্রয়োজন যার সততা ও দক্ষ নেতৃত্বে বিসিবি বাঙ্গালীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
লেখক পরিচিতি
শেখ আশরাফুজ্জামান মুকুল
সাবেক সভাপতি
নড়াইল জেলা ছাত্রলীগ।