মাশরাফীর সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম বিশ্বনন্দিত একই সঙ্গে নিজ ব্যক্তিত্ব গুণে তিনি তরুণ প্রজন্মের আইকন। সাধারনত একজন জাতীয় সংসদ সদস্য বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়।
মাশরাফী বাংলার ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অধিনায়ক, যার নেতৃত্বে বাংলার ক্রিকেট স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাঁটতে শিখেছে যেটা প্রমানিত। অধিনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্বে সাফল্য প্রমান করে তিনি একজন দক্ষ নেতা।
দেশের অভ্যান্তরে আঞ্চলিক টূর্ণামেন্টে যখন দর্শকের উপস্থিতি দেখা যায় না, তখন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টূর্ণামেন্ট আয়োজন করে যেখানে দর্শকদের উপচে ভিড়, একই সঙ্গে এই আয়োজনের অনুকরনে দেশের বিভিন্ন জেলায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টূর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয় অর্থাৎ মাশরাফী একজন দক্ষ সংগঠক।
বর্তমান সময় জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ব্যতীত আগামীর জন্য বিশ্ব মানের খেলোয়াড় তৈরীতে আমাদের দূর্বলতা রয়েছে,সেক্ষেত্রে একজন পরীক্ষীত সফল অধিনায়ক ও খেলোয়াড় হিসেবে মাশরাফী অনবদ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে মাশরাফীর দেওয়া সাংক্ষাতকারে বাংলাদেশের ক্রিকেট ও খেলোয়াড় নিয়ে তার যে পরিকল্পনা উঠে এসেছে সেটা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সাফল্যের চূড়ায় এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বিসিবি সভাপতি পদে অন্য যারা দাবীদার রয়েছেন তাদের সাথে মাশরাফীর পার্থক্য এখানে তাদের লক্ষ্য থাকে বাংলাদেশ দল যেন বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে, আর মাশরাফীর লক্ষ্য থাকে দলকে ফাইনালে নেবার, মাশরাফী স্বপ্ন দেখে বিশ্বকাপ জয়ের। মাশরাফী এমনই এক স্বপ্নবাজ তরুন যিনি জেগে স্বপ্ন দেখে এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে জানেন।
ক্রিকেটের জন্য অন্যদের অবদান আর মাশরাফীর অবদান তুলনা করে দেখলে বোঝা যায় কেন মাশরাফী সবার থেকে এগিয়ে।