নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছর জুন মাসে ১২ কোটি ডোজ করোনা টিকা উৎপাদন করবে ভারত। রোববার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা আরও জানান, চলতি মে মাসে মোট ৭ কোটি ৯৪ লাখ ডোজ করোনা টিকা উৎপাদন হয়েছে ভারতে। এছাড়া, দেশের রাজ্যগুলোকে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে নিতে জুনে মোট ৬ কোটি ৯০ লাখ টিকার ডোজ দেয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
করোনা মহামারি প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও গণটিকাদান কর্মসূচি চলছে। চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি।
চলমান এই কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের করোনা টিকা কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন ও সেরাম ইনস্টিটিউটে প্রস্তুতকৃত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহার করা হয়েছে। পরে মার্চের শেষ থেকে রাশিয়ার করোনা টিকা স্পুটনিক ৫ এবং চীনের সিনোফার্মের করোনা টিকাও কর্মসূচিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
দেশটির সরকারি সূত্রে জানা গেছে, টিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত মোট ২১ কোটি ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে জনগণকে। টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করা ডোজের হিসেবে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরই আছে ভারত।
তবে সরকারি পরিসংখ্যান এ ও বলছে, দেশটিতে বসবাসরত মোট ১ কোটি ৩৫ জনগণের মাত্র ৩ শতাংশ টিকার দুই ডোজ নিতে পেরেছেন।
মার্চে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেওয়ায় অনেকটা আকস্মিকভাবেই করোনা টিকার চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ; কিন্তু কোম্পানিগুলোর পক্ষে তাৎক্ষনিকভাবে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব না হওয়ায় দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে দেখা দেয় টিকার ডোজের ঘাটতি।
এপ্রিলের মাঝামাঝি নাগাদ সেই সংকট এতটাই প্রকট রূপ নেয় যে- মাহরাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ুসহ বিভিন্ন রাজ্য ডোজের ঘাটতির কারণে স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় গণটিকাদান কর্মসূচি।
গত এক সপ্তাহ ধরে অবশ্য দৈনিক সংক্রমণ কমছে ভারতে। রোববার দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৩ জন, যা গত ৪৬ দিনে সর্বনিম্ন।
মে মাসের প্রথম দিকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, চলতি বছর আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ২০০ কোটি ডোজ করোনা টিকা উৎপাদন করবে ভারতের দেশীয় দুই কোম্পানি- সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক।সূত্র: রয়টার্স