নড়াইল নিউজ ২৪.কম:
ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি যশোরে বলে জানা গেছে। তারা হলেন- আলামিন (২৪) এবং তানিয়া (২০)। এদের মধ্যে আলামিনের বাড়ি যশোর শহরের চাঁচড়া মধ্যপাড়া এলাকায়। আর তানিয়ার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে পরিবারের সদস্যরাই তাদের শনাক্ত করেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে, গত ২১ মে বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ভারতের পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই একই গ্রুপের এবং বাংলাদেশি বলে উল্লেখ করা হয়।
এই ঘটনাটি প্রচার হওয়ার পর নির্যাতিতার বাবা ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন। এরপরেই নির্যাতনের ওই ভিডিও দেখে আলামিন ও তার কথিত স্ত্রী তানিয়াকে শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে আলামিনের স্বভাবচরিত্র ভালো না জানিয়ে তার বাবা মনু মিয়া বলেন, প্রায় সময় আলামিনের কাছে আসা লোকজন আমার ঘরে বসেই ইয়াবা খেতো। এসব কারণে বিরক্ত হয়ে প্রায় ৮ মাস আগে আলামিনকে বাড়ি থেকে বের করে দেই। শুনিছি, সে ভারতে গেছে, তার বউ বাপের বাড়ি। তার সাথে আমাদের কোনোরকম যোগাযোগ নেই।
‘দুই বিয়ে করা আলামিনের ২ সংসরে দুটি সন্তান আছে। তানিয়াকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভারতে নিয়ে যান আলামিন।’
এদিকে বাবা মনু মিয়া আলামিনের ২ বিয়ের কথা বললেও স্থানীয়রা বলছেন তিনি ৩ টি বিয়ের করছেন। তার তৃতীয় স্ত্রী নাম শারমিন।
এবিষয়ে যশোরের চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রকিবুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, তিনি নির্যাতনের ঘটনাটি শুনেছেন। তবে এর সাথে আমার কর্ম এলাকার কেউ জড়িত কি-না জানা নেই।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার এক তরুণীকে ভারতের কেরালা রাজ্যে নিয়ে যৌন নির্যাতন এবং ওই নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশেরই রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২৬) নামে এক যুবক জড়িত বলে সত্যতা পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। অভিযুক্ত যুবক রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা।