নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বয়স ৪০ হলেই করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। ‘করোনা সংক্রমণ রোধে টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণে বয়সসীমা কমানো হয়েছে। ৫০ বছরের বেশি বয়সের সবাইকে বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছিল। সেটা কমিয়ে ৪০ করা হলো। আজ থেকে এটার কাজ চলবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১২ বছর বয়স বয়সী দেশের সব নাগরিককে টিকা দেয়া হবে। জনসনের টিকা ভাসমান লোকদের দেয়া হবে।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি টিকাদানের এক বছর পূর্তি হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনার প্রত্যাশার কথা জানান মন্ত্রী। সে সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রমও চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের টিকা দেয়ার টার্গেট সাড়ে ১২ কোটি, ইতোমধ্যে ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আড়াই কোটি মানুষ টিকার বাইরে রয়েছেন।
‘টিকাদান কর্মসূচিতে গতি বাড়লেও সে হারে আর টিকা নেয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। কীভাবে এতে মানুষের সংশ্লিষ্টতা বাড়ানো যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তা যারা রয়েছেন, যেমন-পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।’
এরইমধ্যে তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে সভা করা হবে বলে জানান জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাকি আড়াই কোটি মানুষের টিকাদান সম্পন্ন করতে আমাদের চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। কর্মসূচি বাড়ানোর জন্য আমরা আরও দুইটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। একটি হচ্ছে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকার আওতায় আনা। শুধুমাত্র আগে শিক্ষার্থীদের টিকা কেন্দ্রে এই ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হতো। সেটি এখান নিকটবর্তী যে কোন কেন্দ্রে এ টিকা নিতে পারবেন। শুধু জন্ম নিবন্ধন থাকলেই তাদেরকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আরেকটি বুস্টার ডোজ। যা এখন ৪০ বছরের উপরে সবাইকে দেয়া হবে।’