স্টাফ রিপোর্টার:
বে-রসিক পুলিশ ! বে-রসিক পুলিশের কাছ থেকে শেষ রক্ষা হলো না স্বামী-স্ত্রীর। রক্ষা পেলো না মাদক ব্যবসায়ীর শ্বাশুড়িও। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামে। বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ মে) দিবাগত রাতে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ নং ও ১ নং রোড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো জাকির হোসেন প্রকাশ ওরফে গাঁজা জাকির (৩৩), রিতা আক্তার (২২) ও বিবি হনুফা (৪৫)। সম্পর্কে জাকির ও রিতা স্বামী-স্ত্রী। আর হনুফা জাকিরের শাশুড়ি। স্বামী-স্ত্রী আর শাশুড়ির এই মাদক সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকায় ফেন্সিডিল ও গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
শনিবার (২২ মে) ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ নং রোড বুড়ি মার মাজারের সামনে থেকে স্বামী, স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের সঙ্গে ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আগ্রাবাদ সিডিএ ১ নং রোড বলিরপাড়া আমিনুল হক মেম্বারের বাড়ির সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় তলার বাসা থেকে আরও ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জাকির জানায়, অন্য মানুষ নিয়ে এই কারবার বিপদজনক। তাই জামাই, বউ আর শাশুড়ি মিলেই এই কারবার করছে। জামাই জাকির গাঁজা কিনে আনেন। বউ আর শাশুড়ি সেগুলো বিক্রি করেন।
জানা গেছে, জামাই যখনই গ্রেফতার হয়, শাশুড়ি তখনই ছুটেন ঢাকায়। জামিন করিয়ে আনেন হাইকোর্ট থেকে। গত এক বছরেই তিন বার জেলে যায় জাকির। তিন বারই হাইকোর্ট থেকে জামিন করিয়ে আনেন শাশুড়ি হনুফা।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গেছে, শুধু জামিন করিয়ে আনাই নয়; এই মাদক বিক্রির সুবিধার্থে শাশুড়ি বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করতেন। কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পেয়ে গেলে এরপর সেই এলাকার কাজ ছেড়ে দেন তিনি। নতুন এলাকায় যান। নতুন বাসায় কাজ ঠিক করে নেন। এখন গাঁজা বিক্রি করলেও আগে ফেন্সিডিল বিক্রি করত তারা। জাকিরের বিরুদ্ধে আগের তিনটি মামলা রয়েছে।