নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেছেন, চাকরিজীবী পুরুষ বা নারী কোনো চাকরিজীবী নারী বা পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে না- এমন বিধান রেখে আইন হলে দেশে বেকার কমবে। দেশে বেকারত্ব দূর করতে জাতীয় সংসদে অভিনব এ প্রস্তাব রেখেছেন বাবলু । তবে তার এই প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক বলে জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রীআনিসুল হক।
জাতীয় সংসদে শনিবার উত্থাপিত একটি বিলের ওপর নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো চাকরিজীবী নারী কোনো চাকরিজীবী পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে না। কোনো চাকরিজীবী পুরুষ কোনো চাকরিজীবী নারীকে বিয়ে করতে পারবে না। তাহলে আমাদের দেশে বেকার সমস্যাটা অনেক পরিমাণে লাঘব হবে।’
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এমন প্রস্তাব নিয়ে এখান থেকে আমি দুই কদমও হাঁটতে পারব না। এটা অসাংবিধানিক প্রস্তাব। এটা উনি কীভাবে যে এখানে দিলেন, আমি বুঝলাম না।’
প্রস্তাবটিকে ‘যা খুশি তাই বলা’ উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের যেহেতু বাকস্বাধীনতা আছে, উনি যা খুশি তাই বলতে পারেন। নিশ্চয়ই উনি যা খুশি তাইয়ের মধ্য আছেন, কিন্তু আমি যা খুশি তা গ্রহণ করতে পারব না। কারণ আমি জনগণের প্রতিনিধি।’
এক সময়ের সাংবাদিক ও জাতীয় পার্টির কর্মী বাবলুর সংসদ সদস্য হওয়াটা হঠাৎ করে।
রাজনীতির মাঠে অপরিচিত মুখ বাবলু ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আসনটিতে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত দাঁড়ালেও ওইবার তিনি অর্থ আত্মসাতের মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।
নানা জটিলতায় নিজেদের ‘ঘাঁটিতে’ বিকল্প কোনো প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। এমন অবস্থায় দলটি বাবলুকে সমর্থন দেয়। বিএনপির সমর্থন পেয়েই বাবলু বলেছিলেন, বিপুল ভোটে জয় পাবেন তিনি। ভোটে তা-ই দেখা যায়।
বাবলু পান ১ লাখ ৯০ হাজার ২৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট প্রার্থী আসনটির তখনকার সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি নেতা মুহম্মাদ আলতাফ আলী পান ২৬ হাজার ৫৪ ভোট।
এমপি হওয়ার পর নানা ঘটনায় বিতর্কিত হয়েছেন বাবলু। পিস্তল হাতে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে সমালোচিত হন তিনি। এ ছাড়া, তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের মার্চে দুদক তাকে তলব করেছিল।