নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেমে এসেছে চার লাখের নিচে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। তবে দৈনিক মৃত্যুতে সবার ওপরে রয়েছে রাশিয়া। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২২ কোটি ১৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৬০২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা রয়েছে অপরিবর্তিত। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ২০৪ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ২৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৭ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ১৯২ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ ১৮ হাজার ৯২৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৪ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৪৪ জন এবং মারা গেছেন ২৩৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫৯ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে বিশ্বে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৭৯০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৫৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭০ লাখ ৩০ হাজার ৪৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ জনের।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪১৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭৩ জনের।
করোনায় প্রাণহানির তালিকায় ওপরের দিকেই রয়েছে মেক্সিকোর নাম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ২৭২ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৫০৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৮৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ১৪০ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩৮ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৫৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৩৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৬ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৯০ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ১৮৪ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৩২০ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৭৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮৩ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৫২৯ জন। করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ১ লাখ ১১ হাজার ২৫৭ জন মারা গেছেন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৬৮ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৪ জন, ইতালিতে ৪৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭৮৭ জন, তুরস্কে ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৬ জন, স্পেনে ৪৮ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯৪ জন এবং জার্মানিতে ৪০ লাখ ২০ হাজার ৫৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১৫ হাজার ৭ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৯ হাজার ৫৬৭ জন, তুরস্কে ৫৮ হাজার ৩৭৭ জন, স্পেনে ৮৪ হাজার ৯২৮ জন এবং জার্মানিতে ৯২ হাজার ৯০২ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।