নড়াইল নিউজ ২৪.কম বিনোদন ডেস্ক:
হাইকোর্ট মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তিনবার রিমান্ড দেয়ার মতো আদেশ ফৌজদারি বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছেন । আইনি ভিত্তি ছাড়া পুলিশ কারো রিমান্ডে চাইতে পারে না। পুলিশ বিভাগের বোঝা উচিত, মানুষের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক আবেদনের লিখিত আদেশে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলে।
পাঁচ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশে হাইকোর্ট বলেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরীমনিকে তিনবার রিমান্ডে নিয়েছেন। যেখানে প্রথমবারই রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার যথেষ্ট সময় পেয়েছেন।
হাইকোর্ট আরও বলেছে, পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বোঝা উচিত, মানুষের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। আইনি ভিত্তি ছাড়া পুলিশ রিমান্ড চাইতে পারে না, অথচ এ মামলায় পুলিশ তাকে তিনবার রিমান্ডে নিয়েছে, যা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
গত ২৬ আগস্ট পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলার জামিন আবেদনের ওপর দ্রুত শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে লম্বা সময় পর ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির বিষয়ে দিন নির্ধারণের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চায় আদালত।
১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয় এবং ওই দিন পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করে হাইকোর্ট।
উচ্চ আদালতের আদেশের পর গত ৩১ আগস্ট জামিন হয় পরীমনির। ১ সেপ্টেম্বর কারামুক্ত হয়ে বানানীর বাসায় ফেরেন তিনি।
এর আগে গত ৪ আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। পরের দিন পরীমনিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করে তাকে গ্রেপ্তারের কারণ জানানোর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা করে বাহিনীটি।
এরপর পরীমনিকে তিন দফায় সাতদিন রিমান্ড শেষে গাজীপুরের কাশিপুর কারাগারে পাঠানো হয়।