নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের নামে দায়েল করা দুই মামলার আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। রোববার জেলার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ মামলাটি গ্রহণ করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের নাজির কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিচারক আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে রোববার দুই মামলার আবেদন করেন বরিশালের প্যানেল মেয়র-২ রফিকুল ইসলাম খোকন ও সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার।
প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলামের করা মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম, এসআই শাহজালাল মল্লিক ও ইউএনওর বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের বিবাদী করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদারের করা মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমান ও তার বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের বিবাদী করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে বুধবার রাতে শোক দিবসের ব্যানার খোলাকে কেন্দ্র করে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা হয়। এ সময় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর আনসার সদস্যদের গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষ হয় পুলিশের সঙ্গেও।
এতে মেয়র ও প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনসহ ৩০ জন আহত হন, যদিও আওয়ামী লীগের দাবি, আহতের সংখ্যা ৭০।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও ইউএনও মুনিবুর রহমানের করা দুই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। মামলার মোট আসামি ৬০২ জন, তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আনসার ও পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, আহত হয়েছেন শতাধিক। ওই ঘটনায় ইউএনও মুনিবুর রহমান গুলিবর্ষণ করেন বলে অভিযোগ আছে।