স্টাফ রিপোর্টার:
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য (এমপি )বলেছেন, আমাদের যাদের প্রথম শ্রদ্ধা করতে হবে তিনি হলেন আমাদের জাতির জনক ক্ষনজন্মা পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যার নেতৃত্বে এই বাঙ্গালী জাতি পাকিস্তানি শাষকদে বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে এ দেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। দেশ সবার, ধর্ম সবার, জাত টাত থাকবে না আমার ঈদ, আমার পূজাঁ, সবার সকল অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করতে হবে। রাষ্ট্র সবার, ধর্ম রাষ্ট্রের, বঙ্গবন্ধু চেয়ে ছিলেন একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে, অর্থনৈতিক মুক্তি হবে। আমরা অসুভ শক্তিকে ধ্বংশ করার জন্য শারদীয় দূর্গা পূজাঁ করি। আমরা প্রার্থনা আমাদের শক্তি দিন, সাহস দিন, আমাদের মনের মধ্যে কুটিলতা-জটিলতা পরিত্যাগ করে মানুষের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
রোববার দুপুরে নড়াইলের বাঁধাঘাট শ্রী শ্রী সর্বজনীন কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ছবি:- নড়াইল নিউজ ২৪.কম
সকলকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অসম্প্রদায়িক দেশ হিসাবে আমাদেরকে সবসময় নেত্রত্ব দিয়ে আসছে। যেন আমরা যার যার মত করে পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারি।
ছবি:- নড়াইল নিউজ ২৪.কম
আমরা নড়াইলে অস্ম্রদায়িক হিসাবে সকলে মিলেমিশে বসবাস করি এখানে, আগামীতেও সবাই মিলে মিশে চলতে পারব এটা আমার বিশ্বাস।
বাঁধাঘাট এলাকায় অবৈধ স্থাপনা থাকলে তা নিজেদের উদ্দোগে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে মানুষ বেড়াতে আছে তারা যেন এখানে এসে একটা ভালো পরিবেশ পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ছবি:- নড়াইল নিউজ ২৪.কম
বাঁধাঘাট শ্রী শ্রী সর্বজনীন কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি শিশির কুমার বৈরাগীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রামকৃষ্ণ আশ্রম যশোর ও নড়াইলের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞান প্রকাশানন্দ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যঅডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, সমাজ সেবক প্রকৌশলী শৈলেন্দ্র নাথ সাহা, বাঁধাঘাট শ্রী শ্রী সর্বজনীন কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির কমিটির নিলাংশু শেখর সরকার নিপু।
ছবি:- নড়াইল নিউজ ২৪.কম
জানা গেছে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদানের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন এ মন্দিরটি নির্মাণে আনুমানিক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।