পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে জিয়া গুলি চালিয়েছে এমন নজির নেই – প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে জিয়া গুলি চালিয়েছে এমন নজির নেই – প্রধানমন্ত্রী – Narail news 24.com
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত নড়াইলে দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করলেন অতিঃ জিআইজি মোঃ হাসানুজ্জামান নড়াইলে হরিলীলামৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে সম্মানী প্রদান লোহাগড়ায় বাসের ধাক্কায় প্রাণগেল এক জনের, আহত ১ লোহাগড়ায় ঘোষনা দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ছাড়লেন অধ্যক্ষ মোশারফ সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল হবে – আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ নড়াইলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কালিয়ায় বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলে আহত ৫, অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৪ নড়াইলে সার্ভে ডিপ্লোমাদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে ৩ দিনের কর্মবিরতি পালিত

পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে জিয়া গুলি চালিয়েছে এমন নজির নেই – প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১

নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কখনো গুলি চালিয়েছে এ রকম নজির নেই। এখনো যুদ্ধাপরাধী, পরাজিত শক্তি এবং ১৫ আগস্টের খুনি যাদের ফাঁসি হয়েছে তারা তো বটেই; তাদের যেমন ছেলেপেলে যারা এবং যুদ্ধাপরাধী যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদেরও ছেলেপেলে বা দোসর যারা তারা কিন্তু এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে, ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যেসব আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছিল তাদের কিছু কিছু এদেরকে মদত দিয়ে থাকে। কাজেই এই ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে।

৭৫ পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সময় যারা স্থানীয় দালালচক্র, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর তারা কোনোদিন চায়নি বাংলাদেশ স্বাধীন হোক। তারপরও যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হলো, বিজয় অর্জন করল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরাজিত হলো। তখন সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই ১৫ আগস্ট এই হত্যাকাণ্ড তারা চালিয়েছিল। এরপরে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামটা সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়েছিল।

তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান, যে স্লোগান দিয়ে লাখো শহীদ রক্ত দিয়েছেন সেই স্লোগান নিষিদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের সব কিছু ধ্বংস করা হয়েছিল। ভাবখানা এমন হয়েছিল যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। আবার যেন সেই পাকিস্তান একটা প্রদেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেন সৃষ্ট এবং সেই পাকিস্তান এসে আবার আমাদের ওপর খবরদারি করবে এটাই যেন অনেকের আকাঙ্ক্ষা ছিল।

ছবি সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পচাত্তরের পরে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেখানে যেমন আমাদের দলেরও কিছু বেঈমান, মোনাফেক, মীরজাফর ছিল। যেমন খন্দকার মোশতাক গং। আর তার শক্তিটা ছিল জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে একটা সেক্টর কমান্ডার অর্থাৎ সেখানে খালেদ মোশাররফ আহত হয়ে গেল, জিয়াকে সেক্টর কমান্ডার করা হয়েছিল। কিন্তু সে কখনো বিশেষ করে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে এ রকম কিন্তু নজির নেই। এ রকম কোনো নজির কেউ দেখাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যখন মোশতাক বা রশীদ-ফারুক তারা বিবিসিতে যে ইন্টারভিউ দিয়েছে ১৫ আগস্টের পর, সেই ইন্টারভিউতে তারা স্বীকার করেছে। শুধু তাই না, অনেক পত্রিকায়ও তাদের বক্তব্য এসেছে যে, জিয়াউর রহমান এই খুনিদের সঙ্গে সবসময় ছিল এবং জিয়াউর রহমানই ছিল মূল শক্তির উৎস। সেই বেঈমানিটা করেছিল। অথচ জিয়াউর রহমান ছিল একটা মেজর। স্বাধীনতার পর মাত্র তিন বছরের মধ্যে মেজর থেকে একটা প্রমোশন দিয়ে মেজর জেনারেল করা হয়েছিল। সেটা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

সরকার প্রধান বলেন, কাজেই সেটাও তাদের ভোলা উচিত না যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বদৌলতেই জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়েছিল। পাকিস্তান দেশটা থাকলে ওই মেজর হিসেবেই তার রিটায়ার করতে হতো। তার উপরে আর উঠতে পার তো কি না সন্দেহ। তখন যে ভূমিকা নেওয়ার কথা ছিল কেউ নেয়নি। জাতির পিতার লাশ, সবার লাশ ১৬ তারিখ পর্যন্ত ওই বত্রিশ নম্বর বাড়িতেই ছিল। কাফন-দাফনের ব্যবস্থাটুকু পর্যন্ত করা হয়নি।

তিনি বলেন, যারা বেঈমানি করে এবং এই বেঈমানির ইতিহাস যদি দেখা যায়, সেনাবাহিনীতে মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছে সেই মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করা। হাজার হাজার সেনাবাহিনীর সদস্যকে নির্বিচারে যে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এমন এমন রাত গেছে যে জোড়ায় জোড়ায় ফাঁসি হয়েছে। ১০ জন, ২০ জন এ রকম করে একেক রাতে ফাঁসি, শত শত লোককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কে দিয়েছে? জিয়াউর রহমান দিয়েছে। শুধু ঢাকা জেলে না, খুলনা, রাজশাহী বিভিন্ন জায়গায় এই হত্যাকাণ্ড সে চালিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মেধাবী ছাত্র, তাদের হাতে একদিকে যেমন মেধার জন্য তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছে, অপরদিকে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে, অর্থ তুলে দিয়েছে, মাদক তুলে দিয়েছে এবং তাদেরকে ব্যবহার করেছে। তাদেরকে বিপথে নিয়ে গেছে। এ রকম বহু মেধাবী ছাত্রকে এই জিয়াউর রহমান বিপথে ঠেলে দিয়েছে। প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি। শিক্ষার কোনো পরিবেশ ছিল না। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় আসে তখনও সে হুমকি দিয়েছিল যে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে তার ছাত্রদলই নাকি যথেষ্ট। তার কারণ ছাত্রদলের হাতে তারা অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তাদের লেখাপড়া করতে উৎসাহিত করেনি।

তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম যে লেখাপড়া শিখতে হবে। ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি। সেই শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি এই আদর্শ নিয়ে ছাত্রলীগকে তৈরি হতে হবে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে, এরপরে এরশাদ, তারপরে খালেদা জিয়া তারা কি করেছে? তারা তো ছাত্র সমাজকে ধ্বংস করতে চেয়েছে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক এই জাতি এটা তারা কখনো চায়নি। অবশ্য চাইবেই বা কী করে, নিজেদের কী অবস্থা সেটাও তো দেখতে হবে।

ছবি সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশে ১৫ আগস্টের যে হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে। এরপরে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা। এছাড়াও বহুবার আমার ওপরে হামলা। এমনকি চুয়াত্তর সালে কামালের ওপর হামলা হলো। তাকেও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হলো। যখন দেখলো সে বেঁচে গেছে তখন তার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া হলো। মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হলো। অর্থাৎ যারা পরাজিত শক্তি তারা সবসময় একটা সক্রিয় ছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রদের ভূমিকা রয়েছে। আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জন সেই মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বা মিলিটারি ডিক্টেটরশিপের বিরুদ্ধে আন্দোলন বা যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সবসময় ছাত্ররাই করেছে। ছাত্ররাই সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। এ ধরনের বাধাবিঘ্ন আসতে থাকবে। সৎ পথে থাকলে যে সত্যের পথ সবসময় কঠিন হয় সে কঠিন পথকে যারা ভালোবেসে এগিয়ে যেতে পারে তারাই কিন্তু সাফল্য আনতে পারে।

© এই নিউজ পোর্টালের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

More News Of This Category
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin
x