নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের ভোট গণনা। এই ভোটের ওপর নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে পারবেন কি না। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। ভোট গণনা কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রথম বলয়ে আছে স্থানীয় পুলিশ। দ্বিতীয় বলয়ে রাজ্য পুলিশ। তৃতীয় বলয়, অর্থাৎ গণনাকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
ভবানীপুরে মমতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। দুই শিবিরই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর, উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা।
দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর মমতার নিজের এলাকা। তিনি শুধু এই বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাই নন, ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনেও এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।
করোনার আবহে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ভবানীপুরের প্রার্থী না হয়ে, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান মমতা। সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীও হন।
তবে বিধানসভা নির্বাচনের সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে মমতার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে উপনির্বাচনে যেতে হয়েছে মমতাকে।
তাকে এ সুযোগ করে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুর থেকে বিজয়ী হয়েও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। আর আসনটি তিনি ছেড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য।
ভবানীপুর বিধানসভার ১৫৯ নম্বর আসন। কলকাতা পৌরসভার ৬৩, ৭০, ৭১,৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৭ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ড এ অন্তর্ভুক্ত। মোট ভোটকেন্দ্র ২৮৭টি। ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৭২।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর উপনির্বাচনের ভোট হয়। ভোট পড়েছিল প্রায় ৫৫ শতাংশ। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভারও ভোট গণনা চলছে। সব নজর ভবানীপুরে।