স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইল-১ আসনে সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি অভিযোগ করেন, নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু ও কালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম হারুন অর রশিদ এবং সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়ন বানিজ্যের করেছেন।
রোববার বেলা ১১ টায় কালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ছবি:- নড়াইল নিউজ ২৪.কম
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোল্যা এমদাদুল ইসলাম, কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এমদাদুল হক টুলু, কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র একরামুল হক টুকু, সাবেক মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন, কালিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহীম শেখ, কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খান রবিউল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক আশিষ কুমার ভট্টাচার্য্যসহ দলীয় নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নড়াইলের প্রতিতিটি ইউনিয়নের প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মিদের দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের নৌকা দিয়েছেন। কালিয়াতেও প্রকৃত আওয়ামীলীগের লোকদের বাদ রেখে অর্থের মিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিন বারের নির্বািচিত এই সংসদ সদস্য।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের আয়ের উৎস কি ? তিনি মদের দোকান চালান বলেও অভিযোগ করেন।
কবিরুল হক মুক্তি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ১২ ইউনিয়নে তৃতীয়ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউনিয়নে নির্বাচন দলীয় প্রতিকে নয় উন্মুক্তভাবে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানান।
ছবি : নড়াইল নিউজ ২৪.কম
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু তার বিরুদ্ধে অনিত সকল অভিযোগ অস্বিকার করে নড়াইল নিউজ ২৪.কমকে বলেন, সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি ভিত্তিহীন কাল্পনিক ও মনগড়া অভিযোগ করেছেন। দলীয় প্রধান সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয় পত্র স্বাক্ষর করে থাকেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশিদের একটি তালিকা আমরা প্রেরন করে থাকি জেলা সভাপতি-সম্পাদক ও উপজেলার সভাপতি-সম্পাদক যৌথ স্বাক্ষরে। মনোনয়নের ব্যাপারে এখানে আমাদের কোন ভূমিকা নেই।
আরও পড়ুন: কালিয়ায় আ’লীগের সভায় এমপি মুক্তির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ