বিশেষ প্রতিনিধি, নড়াইল নিউজ ২৪.কম
ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হবে এমন ঘোষনায় নড়েচড়ে বসছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আর দলীয় মনোন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছে অতিথি পাখি(প্রার্থী)দের সংখ্যাই বেশি। যারা কখনও এলাকায় খোঁজ খবর রাখেন না ভোটারদেও সাথে কোন যোগাযোগও নেই। অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জানেনা নির্বাচনী এলাকার উত্তর-দক্ষিণ আর পূর্ব-পশ্চিমও।
জানাগেছে, নড়াইলের তিন উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়ন রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এসব ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মনোনয়ন পেতে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছে। বিশেষ করে সরকারি দল আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়র প্রত্যাশী তারা। তবে এসব প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই অতিথি প্রার্থী। যারা ৫বছর পরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পূর্বে আসেন এলাকায়। দলীয় মনোনয়নের আশায় নেতাদের কাছে ধর্ণাদেন এলাকায় যান না। মনোনয়ন শেষ হলে আবারও ফিরে যান শহরে বা জেলার বাইরে।
স্থানীয় নেতা-কর্মিদের অভিযোগ যারা দলের জন্য দির্ঘীদন ধরে শ্রম দিচ্ছেন রাজপথে মিঠিং-মিছিল করছে দলের জন্য ত্যাগী তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দিতে হবে। কোন উড়ে এসে জুড়ে বসা কোন অতিথিপাখীকে কোন ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন দিলে তা মেনে নেওয়া হবেনা। কারণ হিসাবে নেতারা বলছেন, আওয়ামীলীগ একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিটি ইউনিয়নে দলের ত্যাগী নেতা রয়েছে তাদেরকে দলীয় মনোনয়ন দিতে হবে।
তারা আরও বলছেন, দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রনেতা যারা তৃণমুলে রাজনিতী করছে তাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে। যারা বিগত সময়ে দলের সাথে ছিলেন না শুধু নির্বাচনের সময় এসে দলীয় মনোনয়নের জন্য দল করেন এমন ব্যক্তিদের কাছে দল এবং প্রতিক নিরাপদ নয়।
জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলম নড়াইল নিউজ ২৪.কমকে বলেন, কোন অতিথিপাখি যারা ৫বছর পর পর দলীয় মনোনয়নের সময় এসে আওয়ামীলীগ করবে এমন কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না। দলের পরীক্ষিত-ত্যাগীদের কেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু আওয়ামীলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল জানিয়ে নড়াইল নিউজ ২৪.কমকে বলেন, কোন অরাজনৈতিক বা হাইব্রিড নেতাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবেনা। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের পরিক্ষীত-ত্যাগী নেতা-কর্মিদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা(দল) যাকে মনোনয়ন দেবে তাকেই ভোটের মাধ্যম জয়ী করবে দলীয় নেতা কর্মিরা। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচনে গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।