স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইলে করোনায় হট স্পট হিসাবে এখন সদরের ১০টি গ্রাম। জুন মাসে পাশাপাশি ১০টি গ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০জন। করোনা উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন করোনা উপসর্গ নিয়ে ভূগলেও এ এলাকার মানুষ অজানা কারনে অনেক মানুষ করোনা টেস্ট করাচ্ছেন না। এ কারনে গত বৃহস্পতিবার ও রোববার দু’টি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. শফিক তমাল জানান, গত ১জুন থেকে ১৩জুন পর্যন্ত সদর উপজেলার পাশাপাশি ৪টি ইউনিয়নের পাশাপাশি পাচুড়িয়া, গোবরা, কলোড়া, মুশুড়িয়া, রাম নগরচর, আগদিয়ার চর, শিমুলিয়া, সিঙ্গাশোলপুর, বিছালী ও বীড়গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ কারনে গত বৃহস্পতিবার কলোড়া (১০ জুন) এবং রোববার (১৩জুন) সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এখানে ৬৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারনে নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে বলে জানান। রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, এসব অঞ্চলের অনেকেই ভারত থেকে গোপনে (পাসপোর্ট ছাড়া) আবার বেনাপোল বর্ডার থেকে অনৈতিক সুযোগ নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এসব ব্যক্তির অনেকে করোনায় আক্রান্ত হলেও তারা নমুনা দিতে ভয় পাচ্ছেন। আবার তারা সতর্কও হচ্ছেন না। তাদের কাছ থেকে করোনা ছড়াচ্ছে।
করোনায় উচ্চ ঝুঁকির নড়াইলে গত চব্বিশ ঘন্টায় ৬১ জনের নমুনা রিপোর্টে ২৫জন আক্রান্ত হয়েছে। সনাক্তের বিচারে আক্রান্তের হার ৪০.৯৮ভাগ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রোববার (১৩ জুন) রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সদরের ভদ্রবিলা ইউনিয়নের চন্ডিতলা গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৭০)মৃত্যু বরণ করেছেন। এদিকে গত (৭ থেকে ১৪জুন) জেলায় ৩৮০টি রিপোর্টের বিপরীতে ১শ ৫৬জন করোনা পজিটিভ এসেছে। সনাক্তের বিচারে ৪১.০৫ভাগ।
সিভিল সার্জন নাসিমা আকতার বলেন, ভারত থেকে পা গোপন পথে (পাসপোর্ট ছাড়া) বাড়িতে ফিরছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদি তারা এভাবে নড়াইলে প্রবেশ করে তাহলেতো তাদেরও কারনে ঝুঁকি বাড়তে পারে।