নড়াইল নিউজ ২৪.কম স্পোর্টস ডেস্ক:
মিরপুরের মৃত্যুকূপে বাংলাদেশি স্পিনারদের সামলাতে পারবে কিনা নিউজিল্যান্ডের অনভিজ্ঞ দল, এমনটা শঙ্কায় ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। যেমনটা ভাবা হয়েছিল তাই হলো। সত্যি হয়েছে সেই শঙ্কা। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লেইথাম যতই বলুন প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে তার দল মাঠে দেখা গেল না তার ছিটেফোঁটাও। বাংলাদেশের বিপক্ষে পুরো ধসে গেল ব্ল্যাকক্যাপস ইনিংস।
নিউজিল্যান্ডের এই দলটা ‘বি’ দল বলে এই অবস্থা? সম্ভাবনা আছে তার। পিচ একদমই ব্যাটিং সহায়ক নয় অথবা স্পিনে কিউইদের অনভিজ্ঞতা- দায় দেওয়া যায় অনেক কিছুকেই। কিন্তু এমন অবস্থার ব্যাখ্যা বোধ হয় কিছুতেই হয় না। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে ৬০ রানে।
কিউইদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি যৌথভাবে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড। আগেও ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও তারা অলআউট হয়েছিল এই রানে।
শুরুটা হয় প্রথম ওভারেই। স্পিন বিষের থলে খোলেন মাহেদী হাসান। ইনিংসের তৃতীয় ডেলিভারিতে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন রাচিন রাভিন্দ্রা। অভিষিক্ত এই ব্যাটার আউট হন শূন্য রানে।
এরপর মঞ্চে আসেন বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ওভারে উইল ইয়াংকে বোল্ড করেন তিনি। বোল্ড হওয়ার আগে ১১ বলে ৫ রান করেন ইয়াং।
ছবি সংগৃহীত
মাহেদী ও সাকিবের পর উৎসবে যোগ দেন নাসুম আহমেদ। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে নাসুমকে মারতে যেয়ে ডিপ স্কয়্যার লেগে ধরা পড়েন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। দুই বল পরই নিউজিল্যান্ডকে আবার আঘাত করেন নাসুম। শেষ বলে তার ডেলিভারিতে বোল্ড হন টম ব্লান্ডল। ১০ রানের আগে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে সফরকারী দল।
দলীয় অর্ধশত পূরণের আগেই দলের অর্ধেক হারায় তারা। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে সাইফউদ্দিনের ডেলিভারিতে নাসুমের হাতে ধরা পড়েন ব্ল্যাকক্যাপ অধিনায়ক টম লেইথাম। ২৫ বলে ১৮ রান করেন লেইথাম।
তারপরও আসা যাওয়ার মিছিল থামতে দেয়নি বাংলাদেশ। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে সাকিবের হাতে পরাস্ত হন কোল ম্যাককঞ্চি।
নিউজিল্যান্ড এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল টি-টোয়েন্টিতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই রেকর্ড পড়ে বিপদে। ১৩তম ওভারের শেষ বলে সাইফউদ্দিনের ডেলিভারিতে মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন ১৭ রান করা হেনরি নিকোলস।
সবাই উইকেট পাবেন আর মুস্তাফিজুর রহমান নিজের প্রিয় মাঠে উইকেট শূন্য থাকবে তা তো হয় না! ডুগ ব্রেসওয়েল আর আজাজ পাটেলকে তুলে জোড়া আঘাত করেন দ্য ফিজ। নিউজিল্যান্ড তখন নিজেদের সর্বনিম্ন রানে ডুবে যাওয়ার লজ্জায়।
সেটাও পূর্ণ করে দেন মুস্তাফিজ। তার বলে নিউজিল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান জ্যাকব ডাফি যখন ফিরছেন তখন দলের রান ৬০।
১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন মুস্তাফিজ। সাকিব, নাসুম ও সাইফউদ্দিন পান ২টি করে উইকেট।