দেশে এক দিনে করোনায় ৯৪ জনের মৃত্যু দেশে এক দিনে করোনায় ৯৪ জনের মৃত্যু – Narailnews24.com-নড়াইল নিউজ ২৪
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

দেশে এক দিনে করোনায় ৯৪ জনের মৃত্যু

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ত এক দিনে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৭২৪ জনের দেহে। গত এক দিনে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হার ১২ দশমিক ০৭, যা প্রায় তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, এই নিয়ে দেশে মোট করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ল ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৬১ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ১০৯ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয় ৩০ হাজার ৮৫৫টি। করোনা শনাক্ত হার ১২ দশমিক ০৭। এর চেয়ে কম শনাক্ত হার ছিল গত ৭ জুন, ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন, নারী ৪৯ জন। এদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। বাকিদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ৪, ত্রিশোর্ধ্ব ২, চল্লিশোর্ধ্ব ১৩, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ ও ষাটোর্ধ্ব ২৯, সত্তরোর্ধ্ব ১৭, অশীতিপর ৯ জন রয়েছেন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ২৭ জন। এছাড়া খুলনায় ৫ জন, রাজশাহীতে ৬, বরিশালে ১, সিলেটে ৭, রংপুরে ১ ও ময়মনসিংহে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মার্চ থেকে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মাস পাঁচেক পর সম্প্রতি পরিস্থিতির উন্নতির চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমছে শনাক্তের হার।

গত এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ ছাড়িয়ে এক পর্যায়ে ৩০ শতাংশও ছাড়িয়ে যায়। এই অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ।

গত ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও এরপর থেকে রোগী ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে। শাটডাউন চলাকালে নিয়মিতভাবে ২৪ ঘণ্টায় আড়াইশর বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছে। এ ছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছে আরও বহুজন।

ওই সময়ে প্রথমে রাজশাহী বিভাগ ও পরে খুলনা বিভাগে মৃত্যু ছিল সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর জায়গা দেয়া যাচ্ছিল না, দেখা দেয় অক্সিজেন সংকট।

বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথমে ঢাকায় অতটা না ছড়ালেও জুনের শেষ দিকে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকাগুলোতেও ছড়াতে থাকে। হাসপাতালে তৈরি হয় ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই’ অবস্থা। বিশেষ করে আইসিইউ সংকটে রোগীদের স্বজনরা পড়েন দুর্ভোগে। তবে এখন করোনা রোগীর জন্য বরাদ্দ করা হাসপাতালের শয্যার বেশির ভাগ অংশই ফাঁকা পড়ে আছে। আইসিউই ইউনিটগুলোও এখন চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে।

© এই নিউজ পোর্টালের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

More News Of This Category
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin
error: Content is protected !!