নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ করে ভিডিওধারণ ও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।
আদালত বলে, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ীদের বিরুদ্ধে সাজা দেয়ার হার কম। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হলে নির্যাতনের শিকার নারী এবং তাদের পরিবারে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
এ সময় পর্নোগ্রাফি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় মোবাইল কোর্টের সাজা দেয়ার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। পরে আদালত শুনানি মুলতবি করেন।
গত বছরের ৪ অক্টোবর ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হলে ঘটনার হোতা দোলোয়ার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
পরদিন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাকে আটক করে র্যাব। ৬ অক্টোবর দেলোয়ারের মাছের ঘের থেকে হাতবোমা উদ্ধার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে র্যাব দুটি মামলা করে।
১৩ অক্টোবর দেলোয়ারকে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে ওই নারীর করা অন্য দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। ওই দিন শুনানি শেষে বিচারক তাকে ওই দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।